Monday, April 18, 2022

রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত সন্ধ্যা

বিভুয়েঁ যে! হিসেব করতে হয় বৌদি!
তাই ও তিন ছবি বসাই এক আসরে।
দুজনের তো গ্রীষ্মে জন্ম, পিঠোপিঠিই!
মাঝে আরেক, নাহয় মৃত্যুদিন,
পথটায় তো তিন মশালের আলো ঢালি!
 
তাই আমরা সন্ধ্যা ধরি জুনের শেষের।
মরশুমি মেঘ পাহাড় ছেড়ে ফেরে যখন।
তিন কবির কাব্যধারায় সুরের বানে
বলতে, দাদু-ছেলে-নাতিই তো,
ভাষার মেজাজ বাঁচার মেজাজ হয় স্মরণে।
 
বলি, বরং আপনি বাঁধুন রবিতে নাচ;
নিজের স্কুলের মেয়ে টানুন রিহার্সালে।
ছেলেটাকে বাংলা ধরান লিচুচোর!
আবৃত্তি দাদার নাকি শখ?
ঝালিয়ে নিক; প্রিয়তমাসু উতরে যাবে।
 
আবহাওয়াকেও বলি, একটু ছায়া রেখ!
এমন না হয়, হপ্তাভরের বৃষ্টি শুষে
পোড়া আকাশ অনিচ্ছেটা চাগিয়ে দিল!
মেঘের কালো শুনি ঘনায় নুন
মায়ের ভাষার বাষ্পে সেদিন জল বাঁধব।  

১৮.৪.২২   

 


No comments:

Post a Comment