সে দুপুরে আপনি কোথায় ছিলেন, গুরুদেব?
হাজিপুরের হলটায় ঝিম গরম চিটচিটে!
নদীর দিকের হাটের পথেই কোথাও
নজরুলের
পূর্বপুরুষেরা ছেড়ে গিয়েছিলেন
ভিটে।
আপনারই তো সার্ধশত জন্মবর্ষ ছিল!
আবাহনে ছিল জেলার হাকিম, প্রশাসন!
পাটনা থেকে শিল্পী, বক্তা … এবং এভাবেই
মহামানব তীরে আমরা করি অবগাহন।
শিল্পী বলতে ছোট্ট মিষ্টি শিক্ষিকা
মেয়েটি
এসে অব্দি বিচলিত, “তবলচির কী হবে!”
বিকল্পে ব্যবস্থা হল ঢোল-মেরামতির
দোকানের তাও শাকরেদ - চামড়া বাঁধছে সবে!
হাতের একঘন্টা মত আলোবাতাসহীন
সভাঘরের পাশে ঘিঞ্জি কামরায় বসে খাটে…
“আপ সির্ফ তিনতাল অওর একতাল পর চলেঁ!
দ্রুত নয় আরো আস্তে … বাংলা গানের ঠাটে।”
তাও ন’খানা গান হল বাংলা হিন্দী মিলে।
একাই মেয়েটি চরণ ছুঁল আপনার,
দুই ভাষায়!
টেনে ছোঁয়াল শাকরেদটিরও শক্ত
আঙুলক’টি।
বিহার বলেই গুরুদেব, নিই এমন
দায়!
পাটনা,
৩১।৫।২০১২ / ১৮.৪.২২
No comments:
Post a Comment