পৃথিবীর সব দেশের আবহাওয়া তো জানা নেই।
তবে ভারতে গনগনে রোদ্দুরে আসে মে-দিবস।
মাথাগুলোও গরমই থাকে ফি-বৎসর, আর এবার তো
জিনিষের দাম, কাজের ঘন্টা, ভাইয়ের বেকারি …
করোনার স্মৃতি তো আছেই। কিন্তু কী অদ্ভুত দেখ!
কৃষ্ণচুড়া, অমলতাস, জ্যাকারান্ডার এটাই সময়।
বিলেতিরা পলাশ কিন্তু এদেশে শহরে লাগায় নি,
যখন নাকি ভরে ছিল, চতুর্দিকে, পাহাড়ে, প্রান্তরে!
হয়ত সিদহো-কানহো বা বিরসার হাতে মার খেয়ে –
আর কিনা ওদের আনা কর্কটরেখীয় গাছগুলোই
ওদেরই বইপত্র বেয়ে আসা মে-দিনের
রণোল্লাস হয়ে গেল আমাদের সমাবেশে,
লাল, উজ্জ্বল হলুদ, নীল … সব শহরে, চত্বরে!
ফুলে ফুলেই হয়ে গেলাম তিন-চারটে মহাদেশ!
কেননা এত বছর পেরিয়ে এসে মনে হয়
মে’দিন এমন এক দিন যার একশো-পঁয়ত্রিশ বছরে
রক্ত যা ঝরেছিল তার অনেকটাই ফুল করে
ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি, তাও এমন এক ফুল
যা এক প্রদীপ মাটিতেও ফুটে ওঠে।
এমনকি শিকাগো শহরেও তো একশো বছর
খুনে সার্জেন্টটাকে শহীদ করে রেখেছিল সরকার!
বার বার হাঁটুতে বোমা গুঁজে ফাটাতে হল ব্রোঞ্জ, মুখে
লেপতে হল কালি, শেষে ওরা স্বীকার করল পরাজয়।
মেনে নিল, হে-মার্কেট আমাদের – সাইনবোর্ড পাল্টালো,
স্মারক পাটাতন বসালো, এখন মূর্তিও বসিয়েছে
নতুন শতকে – অভিনন্দন, মেরী ব্রগার!
মে’দিনের চায়ে বিস্কুট ডোবালে আঙুলের
প্রান্ত অব্দি ধোঁয়া ধোঁয়া আর মিষ্টি হয়ে যায় …
৩০.৪.২২
No comments:
Post a Comment