Saturday, April 23, 2022

আমার ঘর

আমার ঘর তো আমার মতই অনেকটা ছিল আজগুবি
অনেক কাজে একটু গিয়েই ক্লান্ত হয়ে চিৎপটাং 
তবু নতুন কাজ দেখতেই হাত লাগানো একটিবার 
সারা জীবন গোঁয়ার্তুমি বুদ্ধি বলতে সাড়ে দু’হাত 

ঘরের ওই যুদ্ধজাহাজ বন্যার পর সাজিয়েছিলাম
যে বন্যায় বাঁচিয়েছিলাম পৃথিবীটা বুক আগলে
আকাশফাটা আলোয় ছাতে বোনেদের, মা-বাবার মুখ
দেখে বুঝেছিলাম নোয়ার নৌকোটা কী হয়ে থাকবে 

তারপর তো দখল নিল এন্ড্রোমেডা জানলা জুড়ে …
বস্তুতঃ ঘর একটা কোথায়, একে একে চারটা হল
প্রথমটা তো দীপনেরই, দ্বিতীয়টা আমি দিলাম
তৃতীয়টা আলোকজী আর রবীনদার চতুর্থটা

দুনিয়াজাহান জানত না এই চারটে ঘরের কারখানাতে
তৈরি হত বেআইনি মাল – চোখ-কান-গলা-আঙুল
কিশোরী ডাকত 'সহেলা'য় আর খাঁ-সাহেব ধীর কানাড়ায়
বরিনেজের আলু চাখতাম, ক্ষার শুঁকতাম কার্দেনালে

তখনই তো ‘অস্ত্র আর বাদ্যযন্ত্র’ লিখল দীপন
তাশার বাদ্যে জংলি হাতির নাচ ধরলেন আলোকজী
ভাঙাবস্তির কার্টার আর তারের খাঁচার কারিগরেরা
দাগিয়ে তুলল রবীনদার ডাইরির পাতা, ড্রইং খাতা

এসব মাঝেই জমল পপুলারের গলির কমিউনে দিন
ইকমিকে রান্না সেরে সবার সাথে দেশচিন্তায়
গান বাঁধলাম প্রথম প্রথম, গিটারটা কার ভুলেও গেছি
জানার, বোঝার, দাপিয়ে বাঁচার সেসব কিছু দিন ছিল ভাই

২৪.৪.২২



No comments:

Post a Comment