সকালবেলা দুধ আনতাম।
বিসমিল্লার সানাই সেদিন
দূর থেকে পাঠাল এক
হৃদয়ভাঙা ডাক –
দৌড়ে পাথর, ঝোপ ডিঙিয়ে
শুনতে গেলাম প্রণয়িনীর
অগুরু চন্দনের চিতায়
দহনের সংরাগ।
রেললাইনের দেয়ালখানা
ভাঙা ছিল, তাই তো!
সরকার মেনেও ছিল –
দেয়ালের ফাটলটাকে –
বাঁধাই খিড়কি করে দিল;
তখন আমরা পাড়ায় নেই।
বার বার কেউ না কেউ
ভেঙে দিতাম – তাই তো?
রেললাইনে পেরেক রেখে
ছুরি পাওয়ার খেলায় রেলের
চাকার সাথে দোস্তি হল –
বেহায়ার জঙ্গলে
পাহারার পুলিশগুলো
থই পেত না, তাই তো!
আমাদের বড় হওয়ার
মধ্যেই জড়িয়ে গেল
বেআইন, বেলাইন,
দেয়াল ভাঙার ফের।
জেলের নয়, নিঃশ্বাসের
নেশার পথের।
আভাসি ঝলমলে,
ডালায় বাদাম, নুন
কার্বাইডের বাতি নিয়ে
ঢুকছি বাদামওলা।
বাদাম বেচা ছার!
কার্বাইডের আলোয়,
বাবার মুখে শোনা সেই
ঢাকার রমনার
পাটনায় পৌঁছোনোই
নতুন করে বলা।
ব্যাঙ্গালোর
২১.১১.২০
No comments:
Post a Comment