কখনো হয়নি, ভিখনাপাহাড়ি ভিক্ষে
দেয়নি ভালো।
পাহাড় পেরোতে হয়নি, শাক্যপুত্র দিয়েছে
আলো।
পাঁচমাথার এই মোড় থেকে যায় পাঁচ দিকে রাস্তা,
কোথাও না গেলে পাঁচ সমাজের পাঁতে খাও
নাস্তা –
মোড়ের পুরোনো ঢাকা সুইট্সের সিঙাড়া
চা’য়ের ভুখ,
বাঙালি, কোইরি, মিয়াঁ, রাজপুত, কুর্মি
সবার সুখ।
তেমন মাতালও দিন ছিল, চাঁইটোলায়
গাইত রাণা,
রাতে লালবাগে দেয়াল লিখতে কারোর শুনিনি
মানা।
পোস্টারে খুঁড়ে উঠিয়ে দেশের হৃদয় ছড়ানো
মণি
সামনের ভাঙা পাঁচিলে সাজিয়েছিলাম প্রদর্শনী।
পূবে ভাটি, হাট, পুরোনো শহর, দক্ষিণে
রেলপথ,
নদী উত্তরে, নতুন শহর পশ্চিমে – বাঁধা গৎ
ভাঙল হঠাৎ, লড়াই সামনে দেখল দিন কঠিন,
টাকা, জাত, আর ধর্মভাগাড়ে চেনা মুখ
হল অচিন!
আমায় তো আরো বহু কিছুতেই জড়িয়েছে এ
হদিশ!
বাংলায় দিয়ে বন্ধুত্বের
বিহারিয়ানার শিষ,
ভালোবেসেছি, নীড় বেঁধেছি, কাঁধে
সন্তান নিয়ে,
উঠেছি অমৃতে, কুটিল আঁধারে নিজের বিষ
ছাপিয়ে।
টোটো ছেড়ে ঢুকি সন্ধ্যায় সেই খাপরা-চালের ঘরে,
পাঁচ সমাজের মৌতাতে পাই জোর কন্ঠস্বরে।
ব্যাঙ্গালোর
৭.১১.২০
No comments:
Post a Comment