ছবিটা তোর সহজ আজ, আভাসি রূপকথা,
মুঠোয় মুঠোয় ঘোরে!
ওখান থেকেই তোকে নিয়ে, আবার জাগি
অশ্বত্থের ছায়ে, পাতার মর্মরে –
কেমন আছিস বল!
তোকে যখন দেখেছিলাম, জানতামও
না আগে
জানতে হবে জাত তোর,
ঘাঁটতে হবে সভ্যতার ব্যথার পল্বল।
পল্বল তো ডোবা, পাড়ার
যাওয়াআসায় ভরা;
তারই চোখে আশৈশব,
আকাশ হত মর্ত্য সসাগরা!
মাঝে এক দীপ্যমান প্রাচীন ওই
অশ্বত্থের তলায়,
ভাদ্দরের রোদে দোঁহার
দেহের নম্র বিভায়,
খুঁজেছিলাম পথ –
ধুলো যার গোন্ডোয়ানা, হড়প্পা, মগধ।
চড়া রোদে ঘেমে ছিল
গর্বিত তোর অতলদর্শী বাঁকাহাসিমুখ;
আমি ছিলাম শাপিত শুশুক –
নামছি যেন সন্ধেয়,
সিন্ধুসাগর জলে, অনেক দাঁড়ের গন্ধে ...
আজও সে পথটা ধরে রাখি –
যাদুঘরের উজলে তোর বেপরোয়া বুকের
নীড়ে মাথা রাখি!
গহীন-চাষের ফাল, এমন দিল চাড়,
জন্ম হল এ শহরে তোর সাথে আমার।
হেসে যা তুই অমনি, দেখতে থাক অতল।
এ প্রদেশে ফিরবে তোর মাটি, শস্য, জল।
পুনর্লিখন, ব্যাঙ্গালোর
২২.১১.২০
No comments:
Post a Comment