Sunday, November 29, 2020

দিদারগঞ্জের যক্ষী

ছবিটা তোর সহজ আজ, আভাসি রূপকথা,
মুঠোয় মুঠোয় ঘোরে!
খান থেকেই তোকে নিয়ে, আবার জাগি
অশ্বত্থের ছায়ে, পাতার মর্মরে

কেমন আছিস বল!
তোকে যখন দেখেছিলাম, জানতামও না আগে
জানতে হবে জাত তোর,
ঘাঁটতে হবে সভ্যতার ব্যথার পল্বল।  

পল্বল তো ডোবা, পাড়ার
যাওয়াআসায় ভরা;
তারই চোখে আশৈশব,
আকাশ হত মর্ত্য সসাগরা!
মাঝে এক দীপ্যমান প্রাচীন ওই
অশ্বত্থের তলায়,
ভাদ্দরের রোদে দোঁহার
দেহের নম্র বিভায়,
খুঁজেছিলাম পথ  
ধুলো যার গোন্ডোয়ানা, হড়প্পা, মগধ।  

চড়া রোদে ঘেমে ছিল
গর্বিত তোর অতলদর্শী বাঁকাহাসিমুখ;
আমি ছিলাম শাপিত শুশুক
নামছি যেন সন্ধে,
সিন্ধুসাগর জলে, অনেক দাঁড়ের গন্ধে ...
 
আজও সে পথটা ধরে রাখি
যাদুঘরের উজলে তোর বেপরোয়া বুকের
নীড়ে মাথা রাখি!
 
গহীন-চাষের ফাল, এমন দিল চাড়,
জন্ম হল এ শহরে তোর সাথে আমার।
হেসে যা তুই অমনি, দেখতে থাক অতল।
এ প্রদেশে ফিরবে তোর মাটি, শস্য, জল।
  
পুনর্লিখন, ব্যাঙ্গালোর
২২.১১.২০




No comments:

Post a Comment