Tuesday, September 7, 2021

শরত - ১৯৯৬

গাইঘাট, সিটিকোর্ট, দিওয়ান মোহল্লা থেকে বাসে
মানে চার্টার্ড গাড়িতে, বাস বলতে এ শহরে নেই
ভোর হতে আশৈশব রেলগেটে ভটচাযজেঠুর
সাইকেলটা কাঁধে তোলা তা যা বলছিলাম, বাসে

পরিচিত জনা-পাঁচ ফলিত বয়স নিয়ে গেল।
বাজারের গন্ধ শুঁকে বুঝলাম শরত এসেছে,
চার্দিকে শুকোচ্ছে জল, পাঁক, মাছ পচ্‌ছে কড়া রোদে,
যদিও প্রদেশে ভাদ্র এখনো নামেনি। বম বোলো

চুকিয়ে কাঁওড়ধারী পীতবস্ত্র নর-নারী-পুঁটে
সংসারে ফির্‌ছে হাজারে; ভক্তে বলে সাম্য এই বটে

গোরৌলে দুদিন আগে কচি কাশ, ঘন কচি কাশ
সবুজের জেদি ঢেউয়ে ট্রেনফ্রেন থামিয়ে দিচ্ছিল
নানান ঝঞ্ঝাটে ফেঁসে হাতে বই মেঘে অনির্দেশে
ছিলাম তারার দ্বৈতে (যদিও দুপুর) সে উদ্ভাস

ইঙ্গিতে শুনেছি ঘুম, দুহাজার বছরের, কাড়ে
বিজ্ঞানীর গুণেভাগে এবং এই ঘুম কেড়ে নেওয়া
চলেছে সমান্তরাল বিজ্ঞানে, বন্যায়, কবিতায়
স্বজন-চিন্তায় তবু মথিত নিসর্গে চুপিসাড়ে

দুটো বিশ্বযুদ্ধ বলে পাগলামি সমীচীন নয়
এতদিনে দ্বৈততারও বেশ কিছু গড়েছে অব্যয়

সোভিয়েত ভেঙে গেছে ভেঙে যাচ্ছে শতাব্দিও শেষ!
ফলিত বয়স বলছে করেছি তো যতটা সম্ভব,
ভিড়ে যাচ্ছে অপরাধ-যন্ত্রে দুই-দশ হাজার যুবক,
তন্ত্রকে তদ্বির করে এক প্রজন্ম গু খাচ্ছে বেশ!

বৈপ্লবিক দক্ষতায় দেশ ভাঙা দেখতেও খানিক
দেশ খুঁজি; চালগুলো দুপক্ষেরই বদলে যাচ্ছে দ্রুত,
কিছু একটা হবে, কিছু একটা হবে কিন্তু কী যে হবে
হদিশটা রাখতে ন্যূন কর্মসূচী রাখতে চাই ঠিক;

ফুলটার্ম হাসবেন কি দেবেগৌড়া? না কি জঙ্গী বেশে
বিপক্ষ আসনে গিয়ে এড়াবেন প্রশ্নচিহ্ন, কেশে?


No comments:

Post a Comment