গাইঘাট, সিটিকোর্ট, দিওয়ান মোহল্লা থেকে বাসে
মানে চার্টার্ড গাড়িতে,
বাস বলতে এ শহরে নেই –
ভোর হতে আশৈশব রেলগেটে
ভটচাযজেঠুর
সাইকেলটা কাঁধে তোলা
– তা’ যা বলছিলাম,
বাসে
পরিচিত জনা-পাঁচ
ফলিত বয়স নিয়ে গেল।
বাজারের গন্ধ শুঁকে
বুঝলাম শরত এসেছে,
চার্দিকে শুকোচ্ছে
জল, পাঁক, মাছ পচ্ছে কড়া রোদে,
যদিও প্রদেশে ভাদ্র
এখনো নামেনি। … ‘বম বোলো’
চুকিয়ে কাঁওড়ধারী
পীতবস্ত্র নর-নারী-পুঁটে
সংসারে ফির্ছে হাজারে;
ভক্তে বলে সাম্য এই বটে …
গোরৌলে দুদিন আগে
কচি কাশ, ঘন কচি কাশ
সবুজের জেদি ঢেউয়ে
ট্রেনফ্রেন থামিয়ে দিচ্ছিল
নানান ঝঞ্ঝাটে ফেঁসে
– হাতে বই – মেঘে অনির্দেশে
ছিলাম তারার দ্বৈতে
(যদিও দুপুর) – সে উদ্ভাস
ইঙ্গিতে শুনেছি ঘুম,
দু’হাজার বছরের, কাড়ে
বিজ্ঞানীর গুণেভাগে
এবং এই ঘুম কেড়ে নেওয়া
চলেছে সমান্তরাল
বিজ্ঞানে, বন্যায়, কবিতায়
স্বজন-চিন্তায় তবু
মথিত নিসর্গে চুপিসাড়ে
দুটো বিশ্বযুদ্ধ
বলে পাগলামি সমীচীন নয়
এতদিনে দ্বৈততারও
বেশ কিছু গড়েছে অব্যয় …
সোভিয়েত ভেঙে গেছে
– ভেঙে যাচ্ছে – শতাব্দিও শেষ!
ফলিত বয়স বলছে করেছি
তো যতটা সম্ভব,
ভিড়ে যাচ্ছে অপরাধ-যন্ত্রে
দুই-দশ হাজার যুবক,
তন্ত্রকে তদ্বির
করে এক প্রজন্ম গু খাচ্ছে বেশ!
বৈপ্লবিক দক্ষতায়
দেশ ভাঙা দেখতেও খানিক
দেশ খুঁজি; চালগুলো
দু’পক্ষেরই বদলে যাচ্ছে দ্রুত,
কিছু একটা হবে, কিছু
একটা হবে কিন্তু কী যে হবে
হদিশটা রাখতে ন্যূন
কর্মসূচী রাখতে চাই ঠিক;
ফুলটার্ম হাসবেন
কি দেবেগৌড়া? না কি জঙ্গী বেশে
বিপক্ষ আসনে গিয়ে
এড়াবেন প্রশ্নচিহ্ন, কেশে?
No comments:
Post a Comment