শরত এসেছে
শরত এসেছে …
এত ছবি,
চলচ্ছবি, গান, মিম
ছুটে আসছে
দু’দিন ধরে অন্তর্জালে
সামাজিক
বাঙালিয়ানায়
আমিও তাই
আকাশটাকে খুলতে
হ্যাঁচকা
টান দিয়েছিলাম মেঘের কোনা ধরে
ঝপ করে
জমা জল
ঝরে ভিজিয়ে
দিল আমায় –
যাব্বাবা,
পুরোনো শামিয়ানা নাকি?
আর শুধু
জল তো নয়
আকাশের
মাটির হরেক নোংরা
পকেটে
ফেঁসে আছে পাখির হাড়গোড়
জিভে তেতো
স্বাদ,
চুলে হাত
বুলিয়ে দেখলাম
কিরকির
করছে মাছগন্ধি বালু
আমারই
ভুল ছিল।
সামিয়ানায়
চড়া না গেলেও
মেঘে তো
চড়া যায়!
হাঁটা
যায় পা ডুবিয়ে দিব্যি!
আমার আবার
এধরণের হাঁটাগুলো
উলঙ্গ
ভালো লাগে, কামজ প্রফুল্লতায়।
অদূরে
স্বর্গ! আলো আলো, মদির!
পুরোনো
জলগুলো বরং
ছেঁচে
নিচের বদমাইশ পড়শিটার মাথায় ফেলতাম;
আসলে বুদ্ধিটাই
ঠিক সময়ে
যোগায় না কিছুতে।
যা হোক,
এখন এই ভেজা গা’টা ধুয়ে আসি।
ভাবছি
এগুলোর কী করি?
পাখির
হাড়গোড়, মাছগন্ধি বালু
কলঘরে
কাপড় ছাড়তে দেখি শঙ্খের টুকরো তলপেটে!
ফেলে দিই?
না, মুড়ে রাখি কাগজে? অবশ্য
আমি ম্যাজিক
জানি না। মোড়কটা যখনই খুলব
কবিতা
নয়, ওই মেঘেরই আবর্জনা পাব।
২৪.৯.২১
No comments:
Post a Comment