একটি পৃথিবী নষ্ট হয়ে গেছে আমাদের আগে;
আরেকটি পৃথিবীর দাবী
স্থির করে নিতে হলে লাগে
সকালের আকাশের মত বয়স;
[বিভিন্ন কোরাস(২), মহাপৃথিবী]
কী করলে পাওয়া যায়? ‘সকালের আকাশের মত বয়স’? কবি কি শৈশবের কথা বলছেন? আর যদি তাই ভেবেও থাকেন, আক্ষরিক অর্থে শিশুর, পরিস্কার স্লেটের মত অমলিন, এবং অবশ্যই অনভিজ্ঞ, হৃদয় ও মস্তিষ্কের কথা বলছেন কি? নাকি চিত্তের (ইংরেজি psyche অর্থে) সেই অবস্থার কথা বলছেন যার কাছে জগৎটা প্রতি মুহুর্তে, প্রতি দিকে, প্রতি কাজে এক বিষ্ময়? আর রোমাঞ্চকারী শিক্ষা? আবার এও হতে পারে উনি সব মিলিয়েই বলছেন!
কিন্তু প্রশ্ন হল, কী করলে পাওয়া যায় ‘সকালের আকাশের মত বয়স’।
বোধহয় বসে ধ্যান করলে, চিন্তার মগ্ন থেকে মগ্নতর, মগ্নতম স্তরে ডুব দিলেও পাওয়া সম্ভব নয়।
কেননা,
“ঢের আলোড়িত লোক বেঁচে আছে তবু।
আরো স্মরণীয় উপলব্ধি জন্মাতেছে।
যা হবে তা আজকের নরনারীদের নিয়ে হবে।”
[পৃথিবীর রৌদ্রে, বেলা অবেলা কালবেলা]
আর তাই,
“আমি তবু বলিঃ
এখন যে ক’টা দিন বেঁচে আছি সুর্যে-সুর্যে চলি,”
[হে হৃদয়, বেলা অবেলা কালবেলা]
‘সুর্যে সুর্যে চলি’, এস! বেঁচে থাকা ‘আলোড়িত’ লোকের সাথে, প্রথম সারিতে, জন্মাতে থাকা ‘স্মরণীয় উপলব্ধি’গুলো আহরণ করতে করতে চলি।
দেখা যাক পৃথিবীর ঘাস
সৃষ্টির বিষের বিন্দু আর
নিষ্পেষিত মনুষ্যতার
আঁধারের থেকে আনে কী করে যে মহা-নীলাকাশ,
ভাবা যাক – ভাবা যাক –
ইতিহাস খুঁড়লেই রাশি রাশি দুঃখের খনি
ভেদ করে শোনা যায় শুশ্রুষার মতো শত শত
শত জলঝর্নার ধ্বনি।”
[হে হৃদয়, বেলা অবেলা কালবেলা]
No comments:
Post a Comment