(বাবরি মসজিদ ভাঙার আগে-পরের পরিস্থিতি দেখে লেখা একটি পুরোনো কবিতা)
কর্তা গুটিয়েছিল জমানার নাড়িটেপা
নীতির খোলসে এতকাল।
কত কী যে হতে হল সাজাতে সংবিধানে
দখলীভোগ রাখার চাল।।
সুদক্ষ প্রশাসক কুশল আইনজীবী
ধীরমতি সেনাধিনায়ক।
পুরোধা বুদ্ধিজীবী বিনীত শিক্ষাবিদ
রাজনীতিবিদ সার্থক।।
কর্তা টুকরো হয়ে যেন ছিল এ শালার
গণতন্ত্রের দারোয়ান।
অজাত, কুজাত, ছোট- লোকগুলো বাদ দাও,
দায় ছিল ঘরে রাখা মান।।
শাসন তো ছিল তবু মজা যেন ছিল নাকো
গাঁটকাটা সেজে, খুলে ট্যাঁক,
দেখানো যে আধুলিও নেই, তবে মালা পাওয়া,
নলের গুড়ুমও সেই এক!
শাসন বেনামি রাখা শাস্ত্রমত করে খেতে
ঢেকে সনাতন টঙ্কার,
আহা দেখ সময়ের কী ফের! একেই বলে
ঈশ্বর-লীলা বোঝা ভার!
নতুনের হাওয়া দিক বদলালো এমন যে
জার্মানে ভাঙলো প্রাচীর।
সংসদে দুই শত চার কুড়ি, কিছু কম,
আসনের আঁক দিল ক্ষীর।।
গুরুমহারাজ! তবে আসুন! মহাপ্রসাদ
নামসংকীর্তনে পাই!
দীক্ষা দিয়ে যাবেন ছোট ছেলেটাকে, বেটা
হয়েছে নিজ জাতের চাঁই।।
ওই এক সিন্ধির কেরামতে কী দারুণ
মতিটা ফিরেছে দুলালের,
বেলেল্লাপনা ছেড়ে মেতেছে কার সেবায়
একে বলে সুফলা আখের।।
২রা মার্চ ১৯৯৬
No comments:
Post a Comment