ভেষজ কারখানা থেকে ছড়ানো ঝাঁজগন্ধ যেমন, ঘরের
নিচু ছাতটাও
সয়ে গিয়েছিল; রেললাইনের ওপারের নতুন পাড়ার
মানুষ, মজেছিলাম
রাস্তাটার বাঙালি নামে, আমাদের ঘরবাঁধার বাঙালিয়ানায় – চারদিকে
কোচিং, স্কুল, কলেজের যুবমুখ, পাশেই মুসলমানি মোহল্লায়
রোজার সন্ধ্যার শির-চা, পুরোনো বন্ধুদের স্মৃতি, দুয়া-সালাম
...
ভালো লাগার সবকিছুই কাছে কাছে – ডিওয়াইএফের অফিসঘরটায়
বসে গান গাওয়া, রাহুল পাঠচক্র, ফুটবলে যুবপ্রচার কলেজের মাঠে!
দুচার বছরের থাকায় কত কি দেখলাম বল! ভুমিকম্প, রামশিলাদাঙ্গা,
বাবরিপতন, কার্ফ্যু ... ওদিকে ঘাড়ে ভুয়ো মামলার খাঁড়া, ঝঞ্ঝাট
...
তার মাঝেই রাতে নিজের রক্ত আবার ব্লাডব্যাঙ্কে থলেয় ভরে সাইকেলে
তিন মাইল তোমার প্রসূতিশয্যায় পৌঁছোলাম; তোমায় দেওয়া হল –
প্রথম জানলাম দুজনের রক্তের গ্রুপেও মিল – দেখছিলাম সারারাত,
জ্ঞানে ফিরে, কন্যার জন্মে প্রসন্ন ঘামবিন্দু তোমার উত্তপ্ত
কপালের!
এখন আর আমরা নেই। কিন্তু পাড়াটা রয়েছে জানো? উন্নয়নে চাপা।
গলির ভিতরে আরো সরু গলি খুলে গেছে, নালার ওপরে পাটাতন!
সে কারখানা নেই কিন্তু ভেষজ ঝাঁজ আরো অসহ্য ভিতরগলির পচা ইঁটে।
সে রোদটাও দুপুরে একবার নামে মাঝগলি অব্দি ছড়ানো সাবানফেনায়।
পৃথিবী সমতল নয়। কোণ-ঠাসলে পড়বেনা জীবনাংশ। শাসকের ভ্রান্তি।
ব্যাঙ্গালোর
২৮.১২.২০
No comments:
Post a Comment