ট্র্যাডিশন বাঁচিয়ে রাখব স্যার!
দু’মুঠো পাটশাক, স্নেহের ছাত্রটিকে দিতে
চড়া রোদ্দুরে হাঁকাব সাইকেল –
পেরুব খানাখন্দ, অশথতলা
যা আমাদের বয়সকালে হবে আরো একপ্রস্থ দমছুট জীবনধারণ।
ট্র্যাডিশন এমনিতেও বড় শক্ত জিনিষ –
মনে রাখে পুরোনো ছোবল
প্রণয়ের পাবকস্পর্শ অবিনাশী
বৃষ্টিতে নীরবে মুছে যাওয়ার স্বচ্ছতা
বাদাম কেনার এক ছটাক কার্বাইডের আলো
বিশ্বাসের
হয়ে ওঠা ভারতবর্ষ – জননী –
সুনীল জলধি হতে, বিপর্যস্ত অবেলায়
এবং লেগে থাকা এবং অভিমানের
হিমশক্তি ঢেকে রাখা কাজের গরম।
নতুন লোহার গেটে জং ধরেছে পুরোনো বৃষ্টিতে;
আপনার প্রজন্মের সেই তেজীয়ান
দিদিটি, দেখছি বয়সের ভারে ঝুঁকে
তবু একাই এক কেয়ারি ক্রিসান্থিমামে একশ ...
নবজাগরণ! র্যাডিকাল মনন!
স্মরণের ভিত্তিচিত্রে জনমনে উদ্বীক্ষণ!
গিয়ে দাঁড়াচ্ছি নতুন মুখ, ঈষৎ সন্দেহপ্রবণ।
ট্র্যাডিশন বাঁচিয়ে রাখব স্যার !
লিখব উপচে পড়া প্রায় হিজিবিজি পোস্টকার্ড
সংগঠন ব্যক্তিমন মিলিয়ে মিশিয়ে,
উল্টো করে লেখা নিজের বাতগ্রস্ত হাঁটুর কুশল,
ছাপিয়ে ভাঙাচোরা লাইনে আরো একটি কাজের নির্দেশ,
পুরো না হলে মানুষমুড়িয়ায়
গিয়ে নিজেই দেখব,
শক্ত ঢেলা ভাতের সাথে ভাষাও কিভাবে মরিয়া হয়ে লড়ছে;
পঁচিশ বছর পর
পুরোনো কাঁঠালগাছ পেরিয়ে ডাক দেব –
‘রামনাথ!
শব্দে আছ না ব্রহ্মে?
স্কুলটা রয়েছে ! রয়েছে কিচিরমিচির শিশুদের !
এস করি রৌপ্য নাকি স্বর্ণজয়ন্তী উৎসব,
অভাবের
এবং অবশ্যই, স্বভাবেরও।”
৩.২.২০০০
No comments:
Post a Comment