শিকাগোয় শূণ্যের নিচে সকালে
বিবেকানন্দ পথের সামনে দাঁড়িয়ে ওই গাইডের অজ্ঞতায়
মুচকি হেসে আপনি চুপ থাকতে পারতেন ডাক্তার এস.কে.সিং ।
শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কম্পানির বাস ।
বসে তিরিশটি দেশের চিকিৎসক প্রতিনিধি ।
আপনিও দেশছাড়া সাতাশটা বছর
এবং কার কী আসে যায়
যদি উনিশ শতকের শেষের এক ভারতসাধক
চিত্রিত হন আজকের দালাল বণিক তান্ডবের
আদিপুরূষ ?
তবু কিছু সেদিন চুপ থাকতে দেয়নি আপনাকে ।
চলমান বাসে রীতিমত বক্তৃতা দিয়ে ফেললেন
জ্বালাময়ী !
আর শতাব্দীশেষে, সেদিনের ওই ঘটনা
পাটনায়, ফেব্রুয়ারীর রাতে আমায় শোনালেন ।
অস্থির ! এখনো অস্থির – নিজের কাছে সৎ থাকতে অস্থির !
অভিনন্দন !
এমনই থাকুন, কমরেড !
কী বিড়ম্বনা, তাই না ?
স্বামীজী ধর্মকথা এমন বললেন যে ভারতের বাণী হল !
আর এখন, বণিক তান্ডবের দালালেরাভারতকথায় খুনে,
বিদ্বেষী এক ধর্ম গড়ে তুলছে !
স্বামীজী দেশের সাধুদের শিক্ষার কাজে লাগাবেন, ভেবেছিলেন।
এরা শিক্ষাকে লাগিয়ে দিচ্ছে জোচ্চোর সাধুদের সেবায় !
স্বামীজী দেখছেন – কন্যাকুমারিতে, সুনামির ঢেউ খেতে খেতেও
দেখছিলেন – তাঁর ভরসা আছে এ দেশটায় !
এখন তো আর একা নন, প্রাচীন ঋষিকবি থিরুবল্লুবর
তাঁর পাশে মেঘ ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে নজর রাখছেন –
নাগেরকোয়েল, মাদুরাই হয়ে হিমালয় অব্দি !
মুচকি হাসলেন নাকি তিনি, স্বামীজির দিকে ঘুরে তাকিয়ে ?
“তুমিও বুঝেছিলে আমার কথা –
যে বস্তু মৃত্যুর দিন অমর মিত্র হইয়া তোমার সঙ্গী হইবে সেই
বস্তুই ধর্ম ...”
স্বামীজি দুহাত জোড় করে প্রণাম করলেন, সমুদ্র
ঝিকিয়ে উঠল !
৪-৮-২০০৩/ পুনর্লিখন, ব্যাঙ্গালোর ৪.১.২১
No comments:
Post a Comment