দেখা হওয়া না হওয়ার তো কোনো হিসেব থাকতে
পারে না!
রাখতেও নেই হিসেব; এত বছর ধরে জানি
সমস্যাগুলো
আমার এক্তিয়ারে মনে হলেই ডাক পড়বে ফোনে,
“পালবাবু!” –
তা সে ইন্টারন্যাশনাল গাইতে হোক নব্বইয়ের
শুরুতে,
কিম্বা ‘খ্রুশ্চেভ
লায়েড’ পেতে, বইটা বেরোবার পরের বিকেলে,বা
সিপিএসইউবির ইতিহাসের শেষ ন’পাতা এই
সেদিন।
আর সেটুকুই সাহায্য নেবেন যা চেয়েছিলেন;
রিকশার দিকে
এগোতে গেলেই বাধা দেবেন – নিজেই উঠবেন লাঠির ভরে
শেষ দুপুরে কাঁপতে কাঁপতে, একবার
না হোক তিনবারে।
বাহাদুরপুরের পার্টি অফিসটা মনে আছে
অনুপম? সে বোধহয়
তোমাদের কলকাতা চলে যাওয়ার পরের ঘটনা।
তবু,
মনে তো থাকারই কথা – কতবার তো এসেছ পরে, অফিসের,
মানে রামানন্দ ভবনের ছাতে সময়
কাটিয়েছ অনেকক্ষণ!
স্মৃতির সিন্দুক ছিলেন। আমি তো
পারিনি, যিনি খুলেছিলেন,
তিনিও চলে গেলেন কিছুদিন আগে আর
এবার গণেশদাও।
সেদিন তো তাঁকে ডাকিওনি বয়সের কথা ভেবে,
সন্ধ্যায়।
তবু এলেন। কাশ্মীর নিয়ে প্রতিবাদসভা।
যেচে বললেন।
অস্থির ক্ষোভে ডাকলেন বাঁচাতে কাশ্মীরিয়ত,
হিন্দোস্তানিয়ত।
ব্যাঙ্গালোর
১১.১.২১
No comments:
Post a Comment