সে কবির ঘর বলতে ছিল চিলেকোঠা।
রাতের আকাশ ফিকে সাদা মুখর শহরছটা।
সদ্য সে ধরেছিল জায়গা দাঁড়াবার,
লিখতে লিখতে বুঝতে চেয়ে বাঁচার
সারাৎসার।
আর সে বন্ধু, স্বৈরাচারী তান্ডবের দিনে
বেঁচেছিল দূরের চাকরি জুটিয়ে পশ্চিমে।
তারও ঘর চিলেকোঠায়, বৌ-বাচ্চা নিয়ে।
ও ঘরেই ছক কষেছে, লড়েছে এগিয়ে।
মালিক ভাবে চিলেকোঠা একটা ঘরের কোন।
আমরা ভাবি বাইরে পেলাম অনেকটা উঠোন।
সাত ঘরের ভেজা কাপড় সরিয়ে কিনারে
দেখাই তো যায় সাগরটা, বন্দরের
ওপারে।
সেদিন এক চিলেকোঠায় বলতে হাতের ছোঁওয়ায়,
বিরাট এক কৃষ্ণচুড়ার লালহলুদ মাথা!
দূরে দেখি মিনার-কপিকলের দীর্ঘ হাত
–
শক্ত মুঠোয়, নির্মীয়মান সেতুর লোহার
পাত।
বস্তুতঃ এই কোঠা, জীবন শুরুর শাপেবর।
ছন্নছাড়া দিনেরাতে স্বপ্ন গোছানোর।
এখন যদি সাজশ করে বাড়িমালিকের পাল,
চিলেকোঠা ভাড়া না দেয়, তাহলেই গোলমাল।
ব্যাঙ্গালোর
১৯.১.২১
No comments:
Post a Comment