১
তাঁহাদের দৃষ্টি ছিল কালজয়ী – হাজার
শলাকাবিদ্ধ অন্ধকার সেলুলার সেল্-এ;
শিকল-বেড়ির শব্দ, বীভৎস যাতনা
এইসবে বিচলিত হ’তনাকো তাঁদের চেতনা;
স্বাধীন দেশের এক কল্পচিত্র ভাসত রেটিনাতে
!
তাঁহাদের অপার বোধ কালজয়ী – আঘাতে
পীড়নে নিত্য স্থূল অপমানে – অনুভূতিহীন !
সংগ্রামের সুর এক সূক্ষ্ম সংবেদনে, বলে যেত
প্রতিদিন – “স্বাধীনতা হীনতায়
কে বাঁচিতে
চায়, বলো কে বাঁচিতে চায়?”
তাঁহাদের স্মৃতি আজ ধূসর আঁধারে –
জল্লাদের হাতে ফেঁসে “নাম” হয়ে ঝুলে আছে
দীর্ঘ তালিকায় – সেলুলার জেলে আর আমাদের
স্মৃতিহীনতায় – বাংলার খাঁড়িতে এই
কালাপানি আন্দামান আর্কিপেলাগোতে !!
২
অর্দ্ধশতবর্ষ পূর্তি স্বাধীনতা দিবসেতে আজ
অতীতের ঐ দৃশ্য আড়চোখে দেখে নিয়ে,
অন্ধকার, ধীরে তার এলোমেলো চুলে
পোর্টব্লেয়ারের আলো জড়িয়ে নিয়ে মুক্তোর মতন
–
তাকালো সামনের ঐ পাঁচতারা হোটেলের ব্লেজে,
স্বাধীন দেশের সব গণ্যমান্য অনন্যর ভীড়ে –
মদ, মাংস, মার্মালেড, মার্কিন জ্যাজের তালে
আন্দোলিত তন্বী সব মহিলার দিকে ।।
১৫.৮.১৯৯৭
No comments:
Post a Comment