তাক লাগে
দেখে, দশমহলা কাঠামো
কোনো ক্ষতচিহ্নে
চৌহদ্দি না ছাড়িয়ে
যেন ভিতরের
টানে গুঁড়িয়ে অদৃশ্য…
একি আজকের?
প্রাচীন অধ্যবসায়!
ভাঙো যাতে
কাজে লাগে, শুধু স্থান নয়
সবকিছু,
ইঁট, ছড়, জানলা-দরজা …
অথবা কবিতায়
যেমন মাইকেল
জড় নির্মিতির
আধার আধেয় গুঁড়িয়ে
খুঁজে
খুঁজে সংগ্রহ করেন জীবকোষ,
জীবাশ্মে
বিধৃত শব্দরূপ, ধাতুরূপ,
প্রাণ
দেন ভূমধ্যসাগরী সুরে ছন্দে …
কী বিচিত্র
কালরূপ এঁকে ক্রিয়ায়!
কী অদ্ভুত
বদলে দেন দর্পগীতি!
যেমন ভাঙা
ফিল্ডগান থেকে লোহার
চাদর উপড়ে
সৈনিক, পাতে আগুনে,
রুটি সেঁকে,
ঘাঁটি আগলায় রাতে একা।
যেন ক্ষেত-ঘর
পুড়িয়েও, পিছুহটা
গণসেনা
নিয়ে যায় সব সরঞ্জাম
যাতে শত্রু
না পায়; বা রবিঠাকুর
বাঁধেন
গান সাবেকচালে এমন, সে
সুগীতিই
গায় যুগ; উৎস-বিস্মৃত।
ভাঙা তো
চিরকালই একটি শিল্প।
ভাঙন ধরানোর
আছে সুষ্ঠু বিজ্ঞান।
না জানলে
শত্রুর কাছে শেখ রোজ।
৪.১১.২১
No comments:
Post a Comment