Sunday, October 17, 2021

ছেঁড়া তবু রবীন্দ্রনাথ

চোখদুটো এখনো জ্বলছে, 
কালি হচ্ছে পুড়ে, ভিতরের অসহ আগুনে,
পিছনের পট আর চুলদাড়ি অনেকটা 
খেয়ে গেছিল সময় অথবা উই
বা বলা যায় সেটাই বাধ্য করেছে আমায়,
ফ্রেম থেকে বার করে আনতে তাঁর
মুখের ওই কালো গোন্ডয়ানা ধাঁচ
গঙ্গারিডি থেকে মগধ হয়ে মালাবার অব্দি শস্যসাধকদের …

কে যেন বলল সেদিন,
ভুল ইতিহাস শেখান হয় বাচ্চাদের
একের পর এক এসে হামলা করেছে বহিরাগতরা
আর আমরা হেরেছি বার বার …
জিতেছি হে!
জিতিয়েছে শস্যসাধকেরা!
বিজয়ীর তরোয়াল শেষ অব্দি মাটি খুঁড়তে লেগেছে কাজে,
আর তাই তো গর্বের সাথে বলি আমাতেই সব, তোমাতেই সব!

হ্যাঁ, এক ইংরেজ, তারা এদেশের হলনা, তাই
হারটাকে জিতে বদলাতে আমরাই ভারততীর্থ হয়ে উঠলাম!তাই তো আঁকতে হল আত্মপ্রতিকৃতি, ছেঁড়া, 
তবু রবীন্দ্রনাথ!

আত্মপ্রতিকৃতি আঁকা যে বড় কঠিন!
ছিঁড়তে হয় শুধু অন্যের নয় নিজেরও শৈশবসাথী মুখ,
ছিঁড়ে, হাত ডুবিয়ে রক্তে,
মগজের অন্ধকারে দ্রুত বৈদ্যুতিক ঝিলিকমিলিকে –
আছে কি প্রতিনিয়ত মৃত্যুর চিহ্নগুলো জমাট
শিরায়, করোটিতে?... কিভাবে তা হবে মুখ?
সেটা ঠিক সিঙ্ঘু বর্ডারের ভীড়ে সেলফি নেওয়ার মত নয়।

ছেঁড়া তবু রবীন্দ্রনাথ
ভাঙা তবু বিদ্যাসাগর
উৎপাটিত তবু লেনিন, গান্ধি, আম্বেদকর …
সব বার করছি ফ্রেম থেকে।
ছাড়ান নেই, সময়েরও, উইপোকাদেরও।

১৭.১০.২১



No comments:

Post a Comment