এখন আর
মনেও নেই, বোধহয়
সোভিয়েতল্যান্ডের
পাতা থেকেই কেটে রাখতাম
ছবিগুলো।
হঠাৎ চমকে গেলাম একদিন।
আরে এ
তো আমার ছবি!
ঠিক আছে,
মুখটা এক নয়, নামটাও …
রোক্কো;
শিল্পী রেনাতো গুত্তুসো।
গুঁড়ি
মেরে বসে গ্রামোফোনে গান শুনছে লোকটা,
নাকি ১৯৫০
থেকে, ছুটির রোববারগুলোয় …
পিছনে
যেমন-তেমন শহর,
সামনের
চালাবাড়ির আধখোলা জানলায় কেউ আসবে,
আঙুলের
ফাঁকে তুবড়ে যাওয়া সিগরেট,
লাল-কালো
চেকের জামায় চড়া মেজাজ –
কত বছর
একসাথে কাটালাম দুজনে তারপর।
তারপর
তো সোভিয়েত গেল, ল্যান্ডও গেল।
রোক্কো
আর আমি রয়ে গেলাম।
মাঝে কিছুদিন
আমার প্রোফাইলে গিয়ে আপনারাও
পেয়েছেন
নিশ্চয়ই তার তেলচিটে প্যান্টের গন্ধ।
সেদিন
ফেসবুকে দেখলাম
বোমাবিধ্বস্ত
আরবের কোনো দেশের শহরে সকাল।
ভগ্নস্তুপ
থেকে বেরিয়ে এসেছে এক বুড়ো,
গ্রামোফোনটা
চালিয়ে
বোমারু
বিমানের ফিরে আসার সাথে পাল্লা দিয়ে
শুনছে
গান।
রোক্কো
আছেই। আমিও আছি এখনও। আরেকজন হল।
১৪.১০.২১
No comments:
Post a Comment