সময়ের
বাঁকটা পেরিয়ে আমরা সকলেই
অজ্ঞাতপরিচয়।
সময়ের বাঁকটা পেরিয়ে,
যদি
বেঁচে থাকি, কারোর স্পর্শে জ্ঞানে ফিরে
নতুন
পৃথিবী গড়ে নিতে হয় - কার স্পর্শ?
একটি
কুকুরও হতে পারে
ভাবার
কোনো কারণ নেই যে সে ছদ্মবেশে
কোনো
ভগবান। বস্তুতঃ কুকুরের বুদ্ধিদীপ্ত চোখ
কোনো
তুলনা ছাড়াই সুন্দর, বা ধর গরুর মুখটা –
মন্দিরের
মত; জাবোলটস্কি লিখেছিলেন
সময়ের
সেই বাঁকটা পেরিয়ে বস্তুতঃ
সবই
এক থাকে, শুধু নিজেকেই
ভাঙতে
হয় নিজের অপরিচয়, ভাঙতে হয়
উল্টে
থাকা লোহার ঠেলার পাশে পাথরকুচিতে
মুখ
থুবড়ে থাকা মৃত্যু নিজের, চেয়ে চেয়ে দেখি
গাছপালা,
দেয়াল, জানালা, দোকান, মানুষজন
কেউ
ঠিক প্রতীক্ষায় নেই, তবু
ভালোবাসা
বন্ধ করেছে মনে হয় না,
কেউ
হাসছেওনা মুচকি, আবার তিরস্কারও নেই
সনাক্ত
যে করবে সে আসেনি, কোথায় সে?
এখনও
খবর পায়নি পুলিস? তাকে দেয় নি?
নাকি
এক পথচারি পেয়েছে শীতের
কাঁকরপথে
লাশটা? কোথায় আপনজন আমার?
ঘরে?
বেরুচ্ছে কোন কাজে, বেখবর? নাকি রাস্তায়,
পুলিস
জিপে, আশঙ্কাবিধ্বস্ত মুখে আসছে?
বা হয়ত
আগামিকাল পাবে খবর!
কারো
আসার আগেই উঠে পড়া যাক বরং!
নিজের
কন্ঠস্বরটা আছে তো?
ফিরে
যায়নি তো নদীতে?
কোনদিকে
যেন সেই মাতৃধারা এই নতুন
বা পুরোনো
যাই ভাবি
পৃথিবীতে?
কিরে,
নিয়ে যাবি নাকি দোস্ত?
কুকুরটার
দিকেই তাকালাম।
২.১০.২১
No comments:
Post a Comment