এটি একটি চলতি শব্দ। শিকড় জানি না।
অনেক
বছর আগে পাটনার রাজেন্দ্রনগর পাড়ার ছয় নম্বর রোডের উল্টোদিকে, মানে কাজিপুরের মুখে
একটা পান-সিগারেটের দোকানে দাঁড়িয়ে সিগরেট ধরাচ্ছিলাম। সেটা রেডিওর যুগ। দোকানির ট্রাঞ্জিস্টরে
বিবিধ ভারতীতে ভূলে-বিসরে গীত শুরু হল। মুকেশের গলায় পুরোনো একটি গান, বোধহয়, “আয়া হ্যায় মুঝে ফির
ইয়াদ উও জালিম”। দোকানি এক ঝটকায় হাত
বাড়িয়ে রেডিওটা বন্ধ করে দিল। জিজ্ঞেস করলাম, “বন্ধ করলে কেন? এত
সুন্দর গান!” দোকানি ছোটো করে জবাব
দিল, “অন্নস লাগে।” – “অন্নস মানে?” – “মানে... কি বলব, হাত
চলে না, কাজ করতে অসুবিধে হয়, এসব ফুরসতে বসে শোনার জিনিষ।”
জানিনা,
হতে পারে, শব্দটা আলস্য থেকে এসেছে। নেশা থেকে এসেছে। এও হতে পারে এত দিন কার ইংরেজ
শাসনের ফলে শব্দটা ‘আনইজিনেস’ থেকে এসেছে। পরে, পাহাড়ি রাস্তায় গাড়িতে বসেও
এটা লক্ষ্য
করেছি। ড্রাইভার, তার নিজের কাছে পুরোনো, ধীরগতি গানের সিডি বা কার্ড থাকলেও সেটা
কাজের সময় বাজায় না। যাত্রী হিসেবে আমরা বাজাতে দিলে দুরকম হয়। যদি বাংলা গান,
রবীন্দ্রসঙ্গীত দিই, ওর অসুবিধে হয় না, চালিয়ে দেয়। কেন না ও বোঝেই না। ওর গায়েও
লাগে না। কিন্তু যদি হিন্দীর পুরোনো, ধীরগতি গান বাজাতে দিই, ওর অসুবিধে হয়, স্পষ্ট
বলে সেটা।
তারপর
নিজে স্কুটার চালাতে গিয়েও দেখেছি। ওয়াকিতে, পরে মোবাইলে, ধীরগতি গানের টেপ চালিয়ে
কানে ইয়ারফোন গুঁজে (বা এখনকার ব্লুটুথে) দেখেছি, স্কুটার চালানোর ছন্দ হারিয়ে ফেলি।
তাও তো স্কুটার। বেশি গতিবেগের গাড়ি চালাতে হলে?
তার
মানে, কাজের লয়ে আর সঙ্গীতের লয়ে একটা সঙ্গতি থাকা দরকার। আবার, মুম্বইয়ে ভীড়ের
রাস্তায় পাশের গাড়িতে এক যুবক যে ধরণের সঙ্গীতের সাথে কাঁধ নাচিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিল,
তা দেখে অন্য একটা কথাও মাথায় এল। এমনও সঙ্গীত হতে পারে যেটা কাজের লয়ের সাথে সঙ্গতি
না রেখে বরং কাজের লয়কে অযথা উত্তেজিত এবং তীব্রতর করে – ফলে দুর্ঘটনা আশঙ্কা
তৈরি হয়।
এই
সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে যন্ত্রেরই কারণে। যন্ত্রের মাধ্যমে আজকাল যে কোনো কাজ করতে
করতে, কোথাও যেতে যেতে চব্বিশ ঘন্টা কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে বা পকেটে যন্ত্র রেখে সঙ্গীত
শোনা যায়। একশ বছর আগে এই অবস্থা ছিল না। কাজকর্ম শেষ করে আসরে এসে বসে তবেই সঙ্গীত
শোনা যেত।
তবে
মানুষ গাইত তো তখনও। জানতে ইচ্ছে হয়, কোনো ঘোড়সওয়ার বা যুদ্ধবাজ খানদানী গায়ক ছিলেন
কি না। তিনি কি ভোরবেলায় ঘোড়া ছোটাতে ছোটাতে, বা তরোয়াল চালাতে চালাতে আহির ললিতে
আলাপ সারতে পারতেন? আমাদের অভিজ্ঞতা আছে এর বিকৃত দিকটার। সিনেমায় খলনায়ককে দেখেছি
ধীরগতি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শুনতে শুনতে বা গাইতে গাইতে জঘন্যতম কোনো অপরাধে, হয়ত
হত্যায় লিপ্ত – কি যেন বলে, হরকত – একটা কঠিন হরকতে
রেয়াজ করতে করতে রক্ত লাগা ছুরিটা বেসিনের জলে ধুচ্ছে। নতুন শার্লক হোমসের একটা ফিল্মে
মরিয়ার্টি জার্মান সঙ্গীতজ্ঞের সুর ভাঁজতে ভাঁজতে হোমসকে রক্তাক্ত করে তুলছিল।
একটা হিন্দী ফিল্মে খলনায়ক হিসেবে অমরীশ পূরীকে ঘড়া বাজাতে দেখেছিলাম। যদ্দূর মনে
হয়, হিচককও এই অনুসঙ্গটা ব্যবহার করেছেন।
আবার
এটাও ভেবে দেখার যে সমস্যাটা কি শুধুই লয়ের,বা গতির? নাকি সামগ্রিক (গায়কী, বাদ্যের
ব্যবহার ইত্যাদি নিয়ে) চালের সমসাময়িকতার? সব জায়গায় না হলেও, কিছু গানে বা কিছু সঙ্গীতের
চালে নতুনত্ব এনে দেখা যায় যে সেগুলো কাজের মধ্যে মানুষ শুনছে এবং তার কাজের গুণ
তাতে বাড়ছে।
আর অন্নস? সেটা কি একেবারেই বিষবৎ পরিহার্য?
২
সেদিন নেটফ্লিক্সে একটা কোনো সিরিজের প্রথম এপিসোড দেখছিলাম।
বোধহয় ‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’। প্রথম তো নাটকীয়তা আনার জন্য যে দ্বন্দ্বটা ব্যবহার
করা হয়েছে সেটা দেখেই নিজের ওপর হাসি পেল। এক মেরুতে রাখা হয়েছে শুদ্ধ শাস্ত্রীয়
গায়নের ঘরাণা যার ওস্তাদ রাজপ্রাসাদে সম্মানিত – উঁচুতে গাওয়ার জন্য একমুহুর্তের ফলসেটো ব্যবহার করার
অপরাধে নিজের পুত্রকে, সবার সামনে সকালের ক্লাস থেকে বার করে দেন। অর্থাৎ এতটাই শুদ্ধতাবাদী,
এবং সে শুদ্ধতার সম্মান দেওয়ার অওকাত একমাত্র রাজাই রাখে। অন্যদিকে, ছেলের প্রণয়
দানা বাঁধতে শুরু করল জিন্স, টপ্স পরা একটি মেয়ের সাথে যে ল্যাপটপে বা মোবাইলে গান
লেখে, সুর করে, গায় – অত্যাধুনিক
গান – একঅর্থে রকস্টার; তবে ভারতীয়
অর্থে রক।
আমার হাসি পেল যে মিছিমিছিই দেড় দশক আগে সঙ্গীতে
যুক্তিবাদের প্রশ্নের অবতারণা করেছিলাম এবং উনিশ শতকের ভারতে “সাংস্কৃতিক পরম্পরার সব ক্ষেত্রেই ...
জাতীয়তাবাদী-যুক্তিবাদী পুনরাবিষ্কার” এর ধারায় সঙ্গীতকে দেখার চেষ্টা করেছিলাম। দেখতে চেয়েছিলাম কিভাবে সঙ্গীতের
ক্ষেত্রে নতুন পথিকৃৎ যাঁরা এলেন তাঁরা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে
দিলেন। রহস্যের কয়েদখানা থেকে তার ভাষাকে উন্মুক্ত করলেন, সর্বজনবোধ্য ব্যাকরণ তৈরি
করলেন, সবার জন্য অবাধ বিদ্যালয় তৈরি করলেন, মানুষের ভীড়ে গিয়ে গাইতে শুরু করলেন! ...
সব বেকার। হবে নাই বা কেন? স্বাধীন ভারতে আবার যে নতুন
রাজারা জন্ম নিল! তাদের মহফিল বসবে না, পুরোনোদের মত? নতুন সঙ্গীতজ্ঞেরাও সুযোগ বুঝে
কুলীনতাবাদী হয়ে গেলেন। আমরা হয়ে গেলাম, পূঁজিপ্রধানদের ভাষায় ‘বরবাদ বছর’এর (ওয়েস্টেড ইয়ার্স) এর উৎপত্তি, যারা ভোরের বৃষ্টির মধ্যে প্যান্ডালের
বাইরে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে, ভাঁড়ে কালো চা খেতে খেতে চিৎকার করে গিরিজা দেবীকে
বলতাম, “গেয়ে চলুন দিদি” ! আর তিনি, নিজের নথটা নাড়িয়ে হেসে কর্মকর্তাদের বলতেন তিনচারটে
ছাতার ব্যবস্থা করতে। একটা ছাতা তাঁর মাথার জন্য, দুটো তবলচির মাথা আর তার বাদ্যের
জন্য, একটা তানপুরার ওপর ... এভাবেই ... স্টেজের ছাত থেকে জল ঝরত আর গিরিজা দেবী খেয়াল
শেষ করে ঠুমরি ধরতেন, কাজরি, ভজন ...। রাজন মিশ্র, সাজন মিশ্রর গাওয়ার মাঝে এক
বোদ্ধা মদ খেয়ে স্টেজের কাছে গিয়ে ওদের ভূল ধরতে আরম্ভ করল তো আমরা পিছন থেকেই তাকে
হাঁক দিয়ে
ভাগিয়ে দিলাম। অতিথি আমাদের, গাইতে দিন! বিসমিল্লা আলাপ ধরলে কাঁদতে কাঁদতে ছুটতাম।
বাহাদুর খাঁর সরোদের তার ছিঁড়ে গেল এক নম্বর রোডের অনুষ্ঠানে বাজনার মাঝেই। পাকারা
বলল এ তো ওঁর পুরোনো রোগ – আমরা মনে মনে বললাম কোই বাত নহি উস্তাদসাহব, আমরা দাঁড়িয়ে আছি, নতুন ভারতের
স্বপ্ন দেখছি তো আমরা একসাথে, তাই না? বেগম আখতার, নিখিল ব্যানার্জি, মালিনি রাজোলকর,
এন রাজম ... কেন আসতেন তাঁরা? অনেকে তো পয়সাও নিতেন না বা কম করে নিতেন। মানুষের
কাছে পৌঁছোনোর জন্য। নব্যধনিকেরা আবার তাদের বন্দী করে নিল নিজেদের প্রাসাদে, আশ্রমে
বা কোঠায়।
ভেদটা আবার তীক্ষ্ণ হতে শুরু করেছে – শাস্ত্রীয় ও জনপ্রিয়ের মধ্যে। হ্যাঁ, শ্রেণী-পৃথকীকরণের
নতুন বিন্যাস অনুযায়ী ভেদগুলো হয়েছে স্তর-বহুল। সবচেয়ে ওপরের স্তরে আছেন শাস্ত্রীয়
ঘরাণার সংবাহক গুরুজীরা, যাঁদের নাম নিতে গেলেও কান ছুঁতে হয়। তাঁরা অন্নসেরও
ওপরে। বস্তুতঃ যাঁরা শোনেন, বা বিশেষ করে যাঁরা পৃষ্ঠপোষক, তাঁদের জন্য ওই সঙ্গীতানুষ্ঠান
তাঁদের শ্রেণীর উচ্চতাসংকেত, যেমন বসার দরবারে কয়েক লাখ টাকা দামের পেন্টিং। তার
নিচের স্তরে সবচেয়ে বেশি উপ-বিভাজন – মধ্যশ্রেণী যে! তাতে কোক-স্টুডিও থেকে ইন্ডিয়ান আইডল অব্দি সবই আছে এবং সব
অনুষ্ঠানের সব গানেই শাস্ত্রীয় ধরণের কারুকার্য (সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনে বা বাজারের
প্রয়োজনে) বাড়ানোর ... আর শ্রোতারাও তাতেই বিস্মিত হয়, “কী হরকৎ নিল দেখলে!” ... বিদেশি অনুষঙ্গও তাতে যোগ হয়, ওই হরকতেরই মত। রকও
একটা হরকৎ। জ্যাজও একটা হরকৎ। ইতালীয় হোক বা আফ্রিকী, সব একেকটা হরকৎ। গানের কথাবস্তু
তো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই এক!
বাংলা গানের শ্রোতারা অবশ্যই আপত্তি করবেন। হয়তো অন্য
কোনো ভাষার শ্রোতারাও আপত্তি করতে পারেন যাঁদের ভাষায় আধুনিক মন ও মননের, হৃদয়ানুভুতির
গান লেখার পরম্পরাটা ছিল, রবিঠাকুরের মত বিশাল মাপের কেউ একজন সেই ধারাটাকে, বৈপ্লবিক
ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মধ্যে ধরে রাখতে পেরেছেন এবং তাই, এখনও সে সব ভাষায়
গানওলাদের একটা ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।
কিন্তু হিন্দী দুনিয়ায়? তিরিশ-চল্লিশ-পঞ্চাশের দশকের কাব্যক্ষেত্রে
আবির্ভূত নবগীতি-পরম্পরা কবিমন্ডলীতেই আটকে রয়ে গেল। হাফ-এলিটদের জন্য রইল গজল, অর্ধ-শাস্ত্রীয়
অর্থাৎ ঠুমরি, দাদরা, ভজন ইত্যাদি এবং প্রোগ্রামের প্রথম দিকে প্রধান অতিথিদের
অনুপস্থিতির অবসরে সুগম-সঙ্গীত ও গয়ের-ফিল্মী গীত। এদের থেকে অনেক এগিয়ে গেল শহরের গরীবেরা। তাদের মুখে এল পঞ্চাশের
দশকের ফিল্ম থেকে শৈলেন্দ্র, সাহির, মজাজ, মজরুহ ও আরো অনেকের নতুন গান, নতুন সুর, প্লাস উপরি পাওনা হিসেবে, জনসাধারণের হৃদয়ে জায়গা পেতে
উৎসুক শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞেরা, যাঁদের কথা ওপরে বললাম। তাঁরা ওপর মহলেও যেতেন আগের
মতই, কিন্তু নিচেও নেমে আসতে শুরু করলেন, বিনি-পয়সার মুক্তমঞ্চে।
কিন্তু সেই স্বপ্ন-সম্মিলন ভাঙা অবধারিত ছিল। ভাঙল। তার
ইতিহাস আছে। কেউ চাইলে লিখবে। ... একটা বই বেরিয়েছিল কয়েক বছর আগে, ‘নয়েজ আপরাইজিং’ (বিদ্রোহী কোলাহল?)। লেখক অসাধারণ অনুসন্ধিৎসার সাথে পথ নির্দেশ করেছেন
জনপ্রিয় ও লোকসঙ্গীতের আন্তর্জাতিকীকরণের; দেখিয়েছেন কিভাবে তাতে সাহায্য করেছে
গ্রামোফোন। কিভাবে মুম্বাইয়ের পার্সী কফিঘরের গান চলে যাচ্ছে আমেরিকার উপকূলে, কিভাবে
ভিয়েতনামের বাদামওলার গান বা তাহিতির ছন্দ চলে আসছে মুম্বইয়ের বেসমেন্টে। কিভাবে
হাওয়াইয়ান গীটার ভারতে এল, ভারতের নিজের হয়ে গেল আর জন্ম নিলেন অজস্র গীটার শিক্ষক।
তা সে গীটারও ভারতীয় হতে গিয়ে দু’ভাগ হয়ে গেল। জানিনা হাওয়াইয়ে দুভাগ আছে কিনা।
৩
যাই হোক। এসব কথা যাক। আমার উদ্দেশ্য হল দেখা যে কাজিপুরে
ঢোকার মুখে বসা সিগারেটের দোকানদার ছেলেটি কোথায় পৌঁছোলো – (১) ‘অন্নস’! সেটা কি একেবারেই বিষবৎ
পরিহার্য? যে গানে ওর ‘অন্নস’ হয়, সে গানের প্রয়োজন ওর জীবনে আছে কি নেই? আর, (২) ও এখন
কী গান গাইছে?
প্রথমটার উত্তর আমার মতে, আছে। সবার জীবনে সেই সঙ্গীত শোনার
প্রয়োজন আছে যে সঙ্গীতে ‘অন্নস’ জাগে, কাজের ছন্দ হারিয়ে যায়। কেননা সে সঙ্গীত তো কাজের
সঙ্গীতই নয়। অবসরে বসে শোনার, পরিশীলিত মননের, কল্পনার ডানা জাগাবার সঙ্গীত। যে
কোনো সময় শুনলে তা বিচলিত করতে পারে। প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে সেই অবসরটুকু থাকা
উচিৎ, সেই অবসরে ওই সঙ্গীত শোনার জন্য মনের যে পরিশীলন, সে পরিশীলনের পাঠ
বিদ্যালয়ী শিক্ষার অঙ্গ হওয়া উচিৎ এবং সবার বিদ্যালয়ে যাওয়ার, শৈশবের সাধারণ নিয়মে
পরিণত হওয়া উচিৎ। বোঝাই যাচ্ছে যে ব্যাপারটা আর সঙ্গীতের আওতায় থাকছে না। জীবনটা
বদলাবার প্রসঙ্গে চলে যাচ্ছে।
যাক না। ক্ষতি কি? এই যে বড় বড় কথা হয় মিউজিক-থেরাপি, সঙ্গীত-চিকিৎসা
নিয়ে – চিকিৎসা কি শুধু অসুস্থ হয়ে
হাসপাতালে পৌঁছোনো, বা আইনের চোখে অপরাধী হয়ে জেলে পৌঁছোনো মানুষটার দরকার? একটা
এমন জীবন-প্রণালী যেখানে মানুষগুলোই আদ্ধেক-মানুষ হয়ে থেকে যাচ্ছে, অনেক সময় প্রায়
অমানুষ হয়ে থেকে যাচ্ছে, তাদেরকে পুরোপুরি মানবিক সুস্থতায় ফিরিয়ে আনাটা থেরাপি
হবে না? এবং সেই থেরাপিটা যাতে সবাই পায় তার ব্যবস্থার কথা বলাটা অসাঙ্গীতিক হয়ে
যাবে?
[ক্রমশঃ]
No comments:
Post a Comment