রবীন্দ্র সদন পরিসরে বাংলা আকাদেমি ভবনের দোতলায় প্রেক্ষাগৃহে আসন সংখ্যা প্রায় দু’শো। ১৬ তারিখ সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় প্রেক্ষাগৃহের ভীড় বাইরের বারান্দায়, সিঁড়িতে ও নিচের লবিতে উপচে পড়েছিল। স্বাগত ভাষণ দিলেন নেপাল মজুমদার। বর্ষীয়ান কবি অরুণ মিত্র ‘আমার ঘর’ নামে তাঁর একটি কবিতা পড়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন। তারপর আরো একটি কবিতা পড়ে শোনালেন শ্রোতাদের অনুরোধে।
কলকাতা পৌরসভার মেয়র মাননীয় প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় অতিথিদের এবং সারা পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলি থেকে আগত প্রতিনিধিদের স্মারক উপহার দিয়ে সম্বর্ধনা জানালেন। নিজের অভিভাষণে তিনি প্যারিসে অনুষ্ঠিত মেয়রদের সম্মেলনের অভিজ্ঞতা থেকে ইওরোপীয় অবক্ষয়ী সংস্কৃতির মানবতা বিরোধী দিকগুলির কথা বললেন। সুস্থ সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ের স্বরূপ বিশ্লেষণ করলেন নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে।
অনুষ্ঠানের সভাধ্যক্ষ, পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের রাজ্য সভাপতি ক্ষুদিরাম দাস সবাইকে স্বাগত জানিয়ে প্রত্যয়ী কন্ঠে উচ্চারণ করলেন যে বাংলা সাহিত্যের বর্তমান গতিপ্রকৃতি ও আগামীকালে কী রূপ নেবে তার একটি আভাস তিনদিনের আলোচনার মধ্যে দিয়ে ক্রমশঃ ফুটে উঠবে।
সবশেষে সংঘের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সাবধানবাণী উচ্চারণ করলেন যা বর্ত্তমান প্রজন্মকে সৃজনধর্মী ও সুস্থ ঐতিহ্য থেকে উৎখাত করার জন্য সক্রিয়। প্রচার মাধ্যমের সর্বাত্মক হামলা ও টেকনলজিকাল যুগের সঙ্কটগুলোর কথাও তিনি উল্লেখ করলেন।
তিনদিনে সাতটি অধিবেশনে, উপন্যাস, প্রবন্ধ, কবিতা, ছোটগল্প, নাটক, সংবাদ প্রতিবেদন ও অনুবাদ-সাহিত্য সৃজনের সমস্যাগুলোর, ‘ভাবনা ও নির্মাণ’ এই সাধারণ প্রেক্ষিতে আলোচনা হল।
উপন্যাস বিষয়ক অধিবেশনের সভাপতিত্ব, শক্তিপদ রাজগুরুর অনুপস্থিতিতে (তিনি পরে এসেছিলেন) অনুনয় চট্টোপাধ্যায় করলেন। প্রস্তাব উত্থাপক রবীন্দ্র গুপ্তের লিখিত প্রস্তাব পড়লেন রবীন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববন্ধু ভট্টাচার্য। প্রবন্ধ বিষয় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন কনক মুখোপাধ্যায়। প্রস্তাব উত্থাপন করেন আজহারুদ্দিন খান। কবিতার অধিবেশনের সভাপতিত্ব, মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পবিত্র সরকার করেন। প্রস্তাব উত্থাপন করেন রাম বসু। সংযোজন করেন প্রণব চট্টোপাধ্যায়। ছোটগল্পের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মহাশ্বেতা দেবী। প্রস্তাব উত্থাপন করেন চিত্ত ঘোষাল। সংযোজন করেন অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়। নাটকের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কুমার রায়। প্রস্তাব উত্থাপন করেন মোহিত চট্টোপাধ্যায়। সংযোজক ছিলেন অশোক মুখোপাধ্যায়। সংবাদ প্রতিবেদনের অধিবেশনে সভাপতি ছিলেন কল্পতরু সেনগুপ্ত। উত্থাপক সৃজন দে’র অনুপস্থিতিতে প্রস্তাব পড়েন জিয়াদ আলি। সবশেষে অনুবাদ-সাহিত্যের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন পল্লব সেনগুপ্ত। প্রস্তাব উত্থাপন করেন কমলেশ সেন। সংযোজক ছিলেন শতদ্রু চাকী। প্রতিটি অধিবেশনে অতিথিরা ও জেলার প্রতিনিধিরা মূল প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য রেখে আলোচনাকে সমৃদ্ধ করেন।
অতিথি হিসেবে এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের বশীর আল হেলাল, কামাল লোহানী, সেলিনা হোসেন, সমুদ্র গুপ্ত ও শফিকুল হক স্বপন, ত্রিপুরার সংস্কৃতিমন্ত্রী অনিল সরকার, গৌতম দাস, রমেন্দ্র বর্মন, সিরাজুদ্দিন আমেদ, আসামের বিজনলাল চৌধুরী ও তোষেশ্বর চেতিয়া, বিহারের বিদ্যুৎ পাল ও নলিনী তেওয়ারী। গ্রাম বাংলা, জেলা শহর, মফস্বল ও কলকাতা থেকে আগত প্রায় দেড়শ প্রতিনিধি নিজেদের মধ্যে নির্দ্ধারিত সময় ভাগ করে নিয়ে প্রতিটি বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলন যে সম্ভাবনা ও প্রশ্নগুলো রেখাঙ্কিত করল তা দেখা দরকার।
নান্দনিক প্রশ্নে গণ অংশিদারী
আজ অব্দি যে প্রশ্নগুলোকে সাহিত্যের স্বতঃস্ফূর্ত আড্ডা, গোষ্ঠিগত আলোচনা, পত্রিকার পলেমিক্স ও লেখকদের সাংগঠনিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাচক্রে সীমিত রাখা হত, সে প্রশ্নগুলোকেই মূল বিষয় করে সংগঠিত সম্মেলনের আয়োজন এই প্রথম। আশা করা যায় এই প্রয়াসের সাফল্য জেলাগুলোকে এ ধরণের সম্মেলন করার প্রেরণা যোগাবে। আর সেই সম্মেলনে আরো বেশি করে উঠে আসবে তৃণমূলের লেখক কবি প্রতিনিধিরা।
মহানগরীয় অহমিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
‘যা কিছু হয় কলকাতাতেই হয়’! চিন্তার এই প্রবৃত্তি বেশ কিছুকাল ধরে চলছে। এমনকি গ্রামকেও যে দেখা হয়, কিভাবে দেখতে হবে, কোনটা আধুনি দৃষ্টিভঙ্গি তা কলকাতা বলে দেয়। এতে কোনো আশ্চর্যের ব্যাপার নেই। ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় এটাই স্বাভাবিক। শহুরে মানুষের সাথে শহুরে মানুষের চিন্তা ও চেতনার লড়াইয়ে গ্রাম প্রয়োজনভেদে বিস্ময় কিম্বা বিপন্নতাসূচক উপাদান মাত্র। মফস্বল ও জেলাশহরগুলো তাদের সমস্ত ক্রিয়াকলাপ সত্ত্বেও মহানগর অভিমুখী কিম্বা মহানগর বিরোধী। মহানগর সিন্ড্রোমের বাইরে স্বতন্ত্র সত্ত্বার বিকাশকে এই প্রবৃত্তি ক্রমশঃ কুন্ঠিত করে চলে। এই সম্মেলনে এই প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে। এই প্রতিবাদের রেশ অসংখ্য ছোট পত্রিকাকে কেন্দ্র করে লেখক কবি শিল্পীদের স্বাভিমান জাগাবে এবং স্বতন্ত্র সত্ত্বার বিকাশকে সংহত করবে।
মুনাফাভিত্তিক বনাম মানবিক আনন্দমীমাংসা
প্রচলিত নন্দনতত্ত্বের বদলে অপ্রচলিত আনন্দমীমাংসা ব্যবহার করলাম কেননা সংস্কৃতির একচেটিয়া কারবারীরা আনন্দের উপর খুব জোর দেয়। তাছাড়া যেহেতু ‘আনন্দ’ শব্দের কনোটেশন উপনিষদ থেকে টানা যায় তাই যাবতীয় মনোবৈজ্ঞানিক, দার্শনিক, আত্মিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও আর্থিক এবং সর্বব্যাপী বৌদ্ধিক গভীরতাগুলিকে তার মধ্যে ঢোকানো যায়। সম্মেলনে এই লড়াইটা মূল্যভিত্তিক না হয়ে প্রতিষ্ঠান-ভিত্তিক রয়ে গেল সেটা আফশোষের। শ্লীল-অশ্লীলের সীমারেখার সীমারেখা থেকে আরো গভীর ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু সীমারেখা টানা হল না। রিয়েলিজম ও ব্লাস্ফেমির, র্যাশনাল ও ইরর্যাশনালের, ক্রিটিসিজম ও মর্বিডিটির মধ্যেকার সীমারেখা টানারও প্রয়োজন ছিল।
গ্রাম-সমাজ, লোক-সংস্কৃতি, আদিবাসী ও প্রাত্যন্তিক জীবনের বিবর্তনের প্রতি দৃষ্টি
বিশেষ করে সাম্প্রতিক বিবর্তন। কেননা গত আঠেরো বছরের বামফ্রন্ট শাসনের জনমুখীন আর্থিক ও সামাজিক নীতিবিন্যাস – বিশেষ করে ভূমি সংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ও আর্থিক বিকেন্দ্রীকরণ – পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চলে যে নতুন প্রাণসঞ্চার করেছে তার মূল সুরটা না ধরতে পারলে এই উপমহাদ্বীপে মানুষের সম্ভাবনাটা বোঝা যাবে না। অবশ্যই তার জন্য খুঁজতে হবে দুর্বলতাগুলোও। ধরতে হবে ওই প্রাণসঞ্চারের দিগন্তকে। দেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ভারসাম্য না বদলালে, সমাজের আমূল পরিবর্তন না হলে যে সীমাটা ভাঙা সম্ভব নয়। তুলে আনতে হবে প্রত্যন্তে ঠেলে দেওয়া মানুষদের বঞ্চিত জীবনকেও। আর লোকসংস্কৃতি! তা প্রত্নতত্ত্ব নয়। শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত মানুষের অভিব্যক্তি ও হাতিয়ার। সুতরাং সদর্থে আধুনিক। … এই বিষয়গুলোর দিকে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প-বাণী সম্মেলনে বার বার উচ্চারিত হল।
দুই বাংলায় ও বহির্বাংলায় বাংলা সাহিত্যের গণতান্ত্রিক ধারার সাংগঠনিক কাঠামোগত পরিপ্রেক্ষিত
বস্তুতঃ এ নিয়ে কোনো আলোচনাও সম্মেলনে হয় নি। কিন্তু বাংলাদেশের সাহিত্যের ধারা, ত্রিপুরার বাংলা সাহিত্য চর্চা ও উপজাতি ভাষাগুলির সাথে তার সংযোগ, আসামের অসমীয়া সাহিত্যে গণতান্ত্রিক মেরু যা বাংলাকে শত্রু নয় সংগ্রামের সাথী মনে করে, বিহারের বাংলা সাহিত্যচর্চায় হিন্দী ও উর্দুর সাথে নিবিড় মেলবন্ধন ঘটাবার প্রয়াস – ইত্যাদি নিয়ে যে ভাববিনিময় হল তা আগামী দিনের সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাবে বলে আশা করা যায়।
‘যেখানে তুমি দাঁড়িয়ে আছ সেটাই তোমার রণক্ষেত্র’
সম্মেলনে মাধ্যমভিত্তিক আলোচনায় সৃজনের বিশেষ বিশেষ সমস্যগুলোও উঠে এসেছিল এবং তা নিয়ে ভবিষ্যতে গভীরতর আলোচনার অবকাশ করে নিতে হবে।
যেমন উপন্যাস প্রসঙ্গে, বাস্তবতার চিত্রণে কোনো পক্ষপাত না করার প্রশ্ন এল। সমালোচনা সাহিত্যের দুর্বলতার কথা উঠল। প্রবন্ধ প্রসঙ্গে, প্রবন্ধের বিষয়কে শুধুমাত্র সাহিত্যে সীমিত না রেখে বিজ্ঞান, সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতির বৃহত্তর ক্ষেত্রে প্রসারিত করে দেখার প্রশ্ন উঠল। সভাপতি সঠিকভাবেই বললেন যে সাহিত্যের ইতিহাসে একটা পরিণত যুগের ফসল হল প্রবন্ধ। প্রবন্ধ জ্ঞানবাদী সাহিত্যও। এবং উনবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ কম্যুনিস্ট ঘোষণাপত্র। কবিতায় মূল প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াল পরিমন্ডল ও বীক্ষা (প্রতীচ্যের ও প্রাচ্যের) এবং কবিসত্ত্বা (‘এই আমি’র ‘অন্য আমি’তে উত্তরণ; প্রাইভেট সেলফ ও পাব্লিক সেলফের দ্বৈরথ থেকে মুক্তি। সভাপতি ন্যায্যভাবে চিহ্নিত করলেন যে দুর্বোধ্যতা আসে উগ্রস্বাতন্ত্র্যবোধ থেকে। তিনি আরো বললেন যে আমিত্ববোধ আর বিশ্ববোধ শুধু কবিদের প্রশ্ন নয় নাগরিকদেরও প্রশ্ন। ‘ওদের জন্যই আমরা বেঁচে আছি’ এটা রোমান্টিকতা নয়, অঙ্কের সোজা হিসেব।
ছোটগল্প প্রসঙ্গে বিষয়ের ও আঙ্গিকের ব্যাপকতায় যাওয়ার প্রশ্ন উঠল। অনেকে প্রকরণগত শিক্ষার অভাবের কথা বললেন। সঞ্চালক সাম্আপ্ করলেন – “দায়বদ্ধ থাকব, ছকবদ্ধ থাকব না।”
নাটক নিয়ে আলোচনায় গ্রুপ থিয়েটারে ক্রমবর্দ্ধমান বাণিজ্যিক প্রবৃত্তির প্রশ্ন উঠল। তবে সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন রাখলেন প্রস্তাবক নিজেই যে আজকের নাটকগুলি কোন সমস্যাটা মুখ্য তা মনে রাখছে না, পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। গ্রুপগুলো নিজেই নিজের অভিভাবক হয়ে যাচ্ছে এবং গণনাট্যের কোনো ম্যানডেট নেই। বাংলাদেশের অতিথি বক্তা ‘৯০এর আন্দোলনে নাটকের অসাধারণ ভূমিকার কথা রাখলেন। তেমনই ‘কল্লোল’ ও উতপলদত্তের সুমহান কর্মোপলব্ধির কথা উঠল। সভাপতি বললেন যে ‘নবান্ন’ই আমাদের প্রথম আলো যা বুকে ধরে আমরা আজও এগিয়ে চলেছি।
সংবাদ প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে ভাষার বিকৃতির কথা উঠল যা বাবরি মসজিদকে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ বলে চালাবার নিকৃষ্ট প্রয়াস আজও বজায় রেখেছে। সংবাদ প্রতিবেদকের সত্যানুগত এবং সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্বের কথাও উঠল।
অনুবাদ সাহিত্যের আলোচনার শেষে সভাপতি সাহিত্যও একাডেমির মূলমন্ত্রটা শোনালেন যে ‘ভারতীয় সাহিত্যও এক তবে বহু ভাষায় রচিত’। অনুবাদে ভারতীয় সাহিত্যের এই রূপটা পেতে হবে।
সবশেষে আমি ফিরে যেতে চাই ১৭ তারিখের রাতে যখন ছোটগল্প নিয়ে আলোচনার শেষে মহাশ্বেতা দেবী সভাপতির বক্তব্য রাখছিলেন।
স্বভাবসিদ্ধ তীক্ষ্ণ ভাষায়, সামনে বসে থাকা লেখক, কবিদের তিন প্রজন্মকে তিনি হঠাত ধমকে উঠলেন, মরতে পার? যা লিখছ তার জন্য?
তারপর নিজের আজীবন সংগ্রামের (যা এখনও জারি রয়েছে) প্রসঙ্গ টেনে এনে শেষে ঈষৎ হেসে ঈষৎ জ্বলে উঠে বললেন, “যেখানে তুমি দাঁড়িয়ে আছ, সেটাই তোমার রণক্ষেত্র!” …
[বীজপত্র, প্রথম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা, বৈশাখ ১৪০২এ প্রকাশিত]
No comments:
Post a Comment