সব অঙ্ক শেষ হয় না, বইয়ে পড়েছিলাম।
সব স্কুলবাড়ি আমবাগান পেরিয়ে হয় না রেললাইন।
সব রাস্তা হারায় না বৃষ্টিতে। কত ভালোবাসা
ফোটেই না, কেউ অপেক্ষায় ছিল ফোটার –
তার চোখের সামনে ডিমটা ঢিল ভেবে
গুলতিতে লাগায় কেউ – একটা পাখি পড়ে
ডানা ঝটপটিয়ে মাটিতে। সে পাখিটাও
হতেই পারে আবার মাটি হতে ডুবে যায় জলায়,
কেউ কুড়িয়ে আনতে গিয়েও পারে না,
শুশ্রূষাও পায় না সে, মাংসও হয় না খিদের …
নতুন শ্রুতিকথা গড়াও একটা কাজ, কে করবে?
জলায় নামতে হবে সন্ধ্যায়,
কাদা ঘেঁটে খুঁজে পেতে হবে পাখিটার
অর্দ্ধমৃত শরীর … আঙুলের ফাঁকে ধুকপুক
ধুকপুক – একটা ট্রেন আসছে আমবাগানের পারে!
ধুকপুক – অঙ্কের অবিশ্বাস্য শেষটা ডাকছে মেঘমালায়,
সন্ধ্যারই মেঘমালায়, কবি যেমন বলেছিলেন?
নাঃ, আমার ভালো লাগে না সন্ধ্যা, তাকে বরং সকালের
ঘাসে নামাই, একসাথে শিশির মাখি গড়িয়ে গড়িয়ে।
ঘোর ভাঙলে উঠে বসে দেখি আমি একাই
শিশির মাখছি নিজের অপরিসীম মুর্খ নগ্নতায়
দুপাশে বসে হাসছে পাখি আর গুলতিধারী হতচ্ছাড়া!
৪.৭.২২
No comments:
Post a Comment