Saturday, July 16, 2022

সিঙাড়া

ভাঙা বেঞ্চে বসে এক 
আটপৌরে, অনেকটাই বুড়ো,
পরনে ম্লান সাদা লপেটা, কুর্তা,
এক প্লেট সিঙাড়া-চাট 
আস্তে আস্তে খাচ্ছেন।
চামচ দিয়ে কেটে কেটে 
একেকটা ছোট্টো টুকরো
ঠোঁটে টানছেন, 
স্বল্পদন্তি মুখের 
এক দিক থেকে আরেকদিকে
পাঠাচ্ছেন, 
আবার ফিরিয়ে আনছেন।
গিলতে ফুলে উঠছে গাল, 
গলার পেশিগুলো।...

শরতসন্ধ্যা। 
উৎসব-ঋতুর আবহাওয়া। 
বাজারে ঢুকবার মুখে 
চিরাচরিত যানজট।
পুরোনো স্কুলটার পাঁচিলঘেঁষা 
ট্রান্সফর্মার, সামনে আবর্জনা,
তার সামনে সার্বজনিক 
পুরূষ প্রস্রাবখানা,
তারই সামনে এক ঠেলা-দোকান -
বিক্রি সিঙাড়া, কচুরির।...

একে একে সবাই এসে খাচ্ছে, 
চলে যাচ্ছে,
বুড়োর আর 
শেষ হচ্ছে না খাওয়া। 
দোকানদারেরও তাড়া নেই;
হাজার হোক, 
তার গ্রাহক-পাড়ারই দাদু তো!
বাড়িতে খাওয়ার 
কষ্ট না হোক
একটু চাইতেই পারেন মুখরোচক!
একটু লোভ হতেই পারে।
পেট খারাপ?
হলে হবে!...
বাঁচা-মরা তো লেগেই আছে। 

যানজটে ফেঁসে থাকা টোটোর 
চালক ছেলেটিও
দৌড়ে কিনে আনল দুটো সিঙাড়া।
পাশে বসা আমার দিকে 
এগোলো ঠোঙাটা,
‘খাবেন, কাকু?’ 

ব্যাঙ্গালোর
৫.১১.১৯



No comments:

Post a Comment