আগে
সুর তৈরি করে ঘর, কথা, পরে গিয়ে থাকে।
সুরের
সে ঘরখানা কথার আভাস ধরে রাখে।
সে আভাস
পায় সুর অব্যক্ত ব্যথায় কাঁপা ভোরে –
স্মৃত
রাত, বেসামাল ইঞ্জিনের দাঁত চুঁইয়ে পড়ে,
আদিগন্ত
আকাঙ্খার ফোটায় রক্তিম কলরোল;
বিস্তারে
বেরোয় সুর, কুঁয়োর বাল্টিতে দেয় দোল …
কখনো
কথাও, জেনে মনটা সুরের, ঘর ছায় –
চিলতে
রোদ্দুরে পাতে চোখ – ওই
এলো, মুখড়ায়!
প্রথম
কলিটা তুলে বহুক্ষণ ভুগিয়ে বেড়ালো,
নাজেহাল
করে শেষে বাকি শব্দে পাখনা ছড়ালো।
কথা
আর সুরের গেরস্থালিতে, পুরোটা মানুষ
নিজেকে
আঁটিয়ে চলে, দু’কাঁধে সামলে রাখে ক্রুশ।
পৃথিবীতে
ছায়া তার, দীর্ঘ করে, হ্রস্ব করে দিন,
কথা-সুর
সমৃদ্ধ করে তার, অক্লান্ত যাপনের ঋণ।
২.৮.২৫
No comments:
Post a Comment