গুগল সার্চে ‘কম্যুনিস্ট ম্যানিফেস্টো পাব্লিকেশন ডেট’ টাইপ করলেই জ্বলজ্বল করে ফুটে উঠবে ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৮৪৮। অর্থাৎ আমাদের চেনাজানা ২১শে ফেব্রুয়ারি – ‘ভাষাশহীদ দিবস’ বা আজকের ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ – থেকে ঠিক ১০৪ বছর আগে ঐ দিনটাতেই প্রকাশিত হয়েছিলো শোষিতের আন্তর্জাতিক ‘স্বপ্নভাষা’!
আজ, ১৭৬ বছর
পর – প্যারি কমিউনের রক্তপাত ও সোভিয়েতের বিপর্যয় পেরিয়েও আরো বেশি করে – কম্যুনিস্ট
ম্যানিফেস্টো শুধু শোষিতের নয়, মানবতার স্বপ্নভাষা।
১৯৪৭এর শুরুতেই
মার্ক্স (সে সময় ব্রাসেলসে), এঙ্গেলস (সে সময় প্যারিসে) ‘লীগ অফ দ্য জাস্ট’ এর লন্ডনবাসী
নেতাদের ((নির্বাসিত জার্মান) সঙ্গে কথা বলে সবাইকে একমত করেছিলেন যে ‘লীগ’কে পুনর্গঠিত
করতে হবে। এবং সে শর্তেই তাঁরা ‘লীগ অফ দ্য জাস্ট’এর সদস্যতা গ্রহণ করেছিলেন। তার আগেই
তাঁরা, তাঁদের তৈরি করা ‘কম্যুনিস্ট করেসপন্ডেন্স
কমিটি’র কাজের মাধ্যমে পাশাপাশি কয়েকটি দেশের সমাজবাদীদের (ও পরবর্তী কালের নৈরাজ্যবাদীদের)
সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে পেরেছিলেন।
‘লীগ অফ দ্য
জাস্ট’এর সম্মেলন সম্পন্ন হয় ১৮৪৭এর ২রা এবং ৯ই জুন। মার্ক্স আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন
যে পয়সার অভাবে তিনি যেতে পারছেন না। তাই সেই সম্মেলনে, মার্ক্সের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে
উইলহেল্ম উলফ ব্রাসেলসের কম্যুনিস্টদের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং এঙ্গেলস প্যারিসের গোষ্ঠিগুলোর
প্রতিনিধিত্ব করেন। সংগঠনের নাম বদলে কম্যুনিস্ট লীগ করার সপক্ষে এঙ্গেলস প্রবল যুক্তিসহকারে নিজের বক্তব্য
পেশ করেন। মার্ক্স যে স্লোগানটা আগেই নিজের কিছু লেখায় চাউর করেছিলেন সেটি সম্মেলনে
গৃহীত হয়। অর্থাৎ, “মানুষরা সব ভাই ভাই” এর বদলে নবপ্রতিষ্ঠিত ‘কম্যুনিস্ট লীগের নীতিবাক্য
হয়, “সব দেশের শ্রমজীবী, এক হও!”
এঙ্গেলস তাঁর
কাজে এবং সহযোগিতায় সে সম্মেলনে এত দূর প্রভাব বিস্তার করেছিলেন যে সম্মেলনের শেষে
খসড়া কর্মসূচি এবং খসড়া নিয়মাবলী বস্তুতঃ তিনিই লিখলেন। সম্মেলনের সার্কুলারের সঙ্গে
সে দুটো সবাইকে পাঠানো হল, পরের সম্মেলনে গৃহীত হবে বলে। সেই খসড়া কর্মসূচিই ‘ড্রাফট
অফ এ কম্যুনিস্ট কনফেশন অফ ফেথ’। খসড়ার নিচে লীগ’এর সম্পাদক ও সভাপতির স্বাক্ষর ছিল।
কিন্তু এঙ্গেলস
সন্দিহান ছিলেন। নাঃ, জিনিষটা ঠিক দাঁড়াচ্ছে না। ২৩-২৪শে নভেম্বর, ১৮৪৭, অর্থাৎ লীগের
দ্বিতীয় সম্মেলনের দু’ সপ্তাহ আগে এঙ্গেলস মার্ক্সকে চিঠি লিখলেন। লেখা শেষ হলে ‘পুনশ্চ’
করে লিখলেন “’কনফেশন অফ ফেথ-টা নিয়ে একটু ভাবো। আমার মনে হয় সবচে’ ভালো হবে যদি প্রশ্নোত্তরের
ধরণ খারিজ করে আমরা লেখাটাকে কম্যুনিস্ট ম্যানিফেস্টো বলি। যেহেতু কিছুটা ইতিহাস দিতেই
হবে, এখন অব্দিকার ধরণটা একেবারেই খাপ খাবে না। আমি নিজের সঙ্গে আরেকটা নিয়ে যাবো,
যেটা এখানে বসে আমি লিখেছি। সহজ আখ্যানের ধরণে, কিন্তু এত তাড়াহুড়োয় ছিলাম, শব্দ ব্যবহারে
অত্যন্ত কাঁচা আর দুর্বল অবস্থায় আছে । শুরু করছি প্রশ্ন দিয়েঃ সাম্যবাদ কী? তারপরেই
সোজা যাচ্ছি সর্বহারায় – শ্রেণীটির উদ্ভবের ইতিহাস, কীভাবে আগের শ্রমজীবীদের থেকে এটি
ভিন্ন, সর্বহারা এবং পূঁজিবাদীদের [বুর্জোয়াজি অর্থে] মধ্যে বিরোধ [এ্যান্টিথেসিস অর্থে],
সঙ্কটসমূহ, নিষ্পত্তি। সব রকমের অপ্রধান বিষয়গুলো এবং শেষে, কম্যুনিস্ট পার্টির নীতি,
যতটা সবার জন্য উন্মুক্ত করা যায়। এর পুরোটা গ্রহণ করার জন্য আমি পাঠাই নি তবে, দু-একটা
গৌণ বিষয়বিন্দু বাদে, মনে হয় এমনভাবে এটা লিখতে পারবো যাতে আমাদের চিন্তাধারার বিরোধী
কিছু থাকবে না।” এই লেখাটাই আজকের পরিচিত ‘প্রিন্সিপ্ল্স অফ কম্যুনিজম’।
কম্যুনিস্ট
লীগের দ্বিতীয় সম্মেলন ২৯শে নভেম্বর থেকে ৮ই ডিসেম্বর ১৮৪৭ অব্দি লন্ডনে চললো। এ সম্মেলনে
মার্ক্স উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের দুজনের পরামর্শে নিয়মাবলিতে আরো বেশ কিছু পরিবর্তন করা
হল। সম্মেলনের শেষে কার্ল শ্যাপার সভাপতি নির্বাচিত হলেন আর এঙ্গেলস সম্পাদক। কর্মসূচিকে
চূড়ান্ত রূপ দেওয়া সম্মেলনের একটা প্রধান কাজ ছিল। সে কাজটার দায়িত্ব কার্ল মার্ক্সকে
দেওয়া হল। এঙ্গেলসেরই প্রস্তাবে সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হল যে দলিলটাকে ‘কম্যুনিস্ট পার্টির
ঘোষণাপত্র’ (ম্যানিফেস্টো অফ দ্য কম্যুনিস্ট পার্টি) নাম দেওয়া হবে।
এবার আসি ম্যানিফেস্টোর
রচনা-প্রক্রিয়ায়। সম্মেলন শেষ হওয়ার পর, লন্ডনে থাকতে থাকতেই তাঁরা দুজনে ম্যানিফেস্টোর
ওপর কাজ শুরু করে দিলেন। ১৩ তারিখে মার্ক্স ব্রাসেলসে ফিরে গেলেন। ১৭ তারিখে এঙ্গেলস
ব্রাসেলসে পৌঁছোনোর পর আবার কাজ শুরু হল। ডিসেম্বরের শেষে এঙ্গেলস প্যারিসে ফিরে যাওয়ার
পর বাধ্য হয়ে বাকি কাজ মার্ক্স একাই পুরো করলেন।
বাধ্য হয়ে
– কথাটার অর্থ সম্মেলন তো কাজটা মার্ক্সকেই দিয়েছিল, মার্ক্স-এঙ্গেলসকে তো দেয় নি।
আর মার্ক্সের যা অভ্যাস, কিছুতেই সন্তুষ্ট হতে পারতেন না। বার বার বদলাতে থাকতেন শব্দ,
বাক্য, বাক্যাংশ, অনুচ্ছেদ …। জানুয়ারির শেষ এগিয়ে আসছে। পুরো ইওরোপে বিপ্লবের হাওয়া।
দলিলটা এক্ষুনি দরকার। ২৬শে জানুয়ারি লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি প্রস্তাব নিল, “কেন্দ্রীয়
কমিটি ব্রাসেলসের আঞ্চলিক কমিটিকে নাগরিক মার্ক্সকে জানাবার দায়িত্ব দিচ্ছে যে যদি
এ বছরের পয়লা ফেব্রুয়ারি অব্দি তাঁর হাতে নেওয়া কাজ, ‘কম্যুনিস্ট পার্টির ঘোষণাপত্র’
লন্ডনে না পৌঁছোয়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। … … কেন্দ্রীয় কমিটির আদেশে
এবং তার পক্ষে – শ্যাপার, বাওয়ার, মল।”
কম্যুনিস্ট
ম্যানিফেস্টোর সটীক সংস্করণের ভূমিকায় রায়াজানফ বলছেন। “উপরুল্লিখিত নোটটার ক্রুদ্ধ
ভাবের সঙ্গত কারণ ছিল। আসন্ন বিপ্লবী ঝড়ের দূরস্থ নির্ঘোষ শোনা যাচ্ছিলো। জানুয়ারির
শুরুতে উত্তর-ইটালিতে ঘটনাবলী চরমে পৌঁছে গিয়েছিলো। ১২ই জানুয়ারি, সিসিলি এবং পালের্মোতে
খোলাখুলি বিদ্রোহ শুরু হয়ে গিয়েছিলো এবং অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়েছিলো। ফ্রান্সে যে
কোনোদিন বিপ্লব ছড়িয়ে পড়তে পারতো। বস্তুতঃ, ম্যানিফেস্টোর প্রকাশনা শেষ পর্যায়ে থাকতে
থাকতেই প্যারিসে ফেব্রুয়ারি বিপ্লব ঘটিত হল। জার্মানিতে মার্চ বিপ্লবের কয়েক সপ্তাহ
পর ম্যানিফেস্টোর কপির প্রথম কিস্তি সে দেশে ঢুকলো।”
উইকিপিডিয়া
বলছে, ফ্রান্সে ২২শে ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহ শুরু হয়েছিলো। সম্রাট লুই ফিলিপ ২৪শে এপ্রিল
পদত্যাগ করেছিলেন এবং রাজতন্ত্রের পতনে ফ্রান্সে ‘দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠিত
হয়েছিলো। যাহোক, এসবের পিছনে ম্যানিফেস্টোর কোনো প্রভাব ছিল না। বস্তুতঃ ১৮৪৮এর ইওরোপীয়
বিপ্লবে কোথাও কম্যুনিস্ট ম্যানিফেস্টোর তেমন কোনো প্রভাব ছিল না। কিন্তু বিপ্লব-সচেতন
শ্রমিক মহলে ভিতরে ভিতরে বইটা সাড়া জাগাতে শুরু করেছিলো। জার্মান ভাষায় বইটার প্রথম সংস্করণ ছেপেছিলো লন্ডনে
জার্মান ওয়ার্কার্স এডুকেশনাল সোসাইটির ছাপাখানায় যার মালিক ছিলেন কম্যুনিস্ট লীগেরই
এক সদস্য জে. ই. বার্ঘার্ড। এই সংস্করণের অশুদ্ধিগুলো ঠিক করে দুমাসের মধ্যে দ্বিতীয়
সংস্করণ প্রকাশিত হয়। এই সংস্করণটিকেই মার্ক্স ও এঙ্গেলস পরবর্তী অনুমোদিত সংস্করণগুলোর
ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করেন। মার্চ থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ম্যানিফেস্টো ধারাবাহিক প্রকাশিত
হয় ড্যুশ লন্ডনার যাইটুংএ। সে বছরই ড্যানিশ, পোলিশ আর সুইডিশ ভাষায় বইটার অনুবাদ প্রকাশিত
হয়। এই সমস্ত সংস্করণে কিন্তু রচয়িতাদের নাম ছিল না। দু বছর পরে যখন এর ইংরেজি অনুবাদ
‘দ্য রেড রিপাব্লিকান’ নামে চার্টিস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, সম্পাদক জুলিয়ান হার্নি
প্রথমবার রচয়িতাদের নামোল্লেখ করেন। যদিও নামহীন সংস্করণ তার পরেও বেরোতে থাকে। আমেরিকায়
ব্রিটেনে প্রকাশিত সংস্করণ ঢুকবে না, তাই ইংরেজি অনুবাদের আমেরিকান সংস্করণ বেরোয় ১৮৭২এ।
কিছু বিকৃতির সঙ্গে মিখাইল বাকুনিন অনুদিত প্রথম রুশী সংস্করণ ১৮৬৯এ প্রকাশিত হয়। সেসব
দোষ দূর হয় প্লেখানভ অনুদিত ১৮৮২র সংস্করণে।
উনিশ শতকে ভারতের
কোনো ভাষায় ম্যানিফেস্টো আংশিকও প্রকাশিত হয় নি। ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লব সারা পৃথিবীতে
যেমন, ভারতেও সাড়া জাগায়। “১৯২২ সালে রণছোড়দাস ভুবন লোটওয়ালা, লিবার্টি পাব্লিকেশনের
মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক সমাজবাদের ওপর পুস্তিকার একটি শৃংখলা প্রকাশ করেন। তার মধ্যে একটা
ছিল ম্যানিফেস্টো। এটাই এই দলিলটার ভারতবর্ষে প্রথম মুদ্রণ ছিল।” [প্রকাশ কারাত, কম্যুনিস্ট
ম্যানিফেস্টো ইন ইন্ডিয়া, এ ওয়র্ল্ড টু উইন, ১৯৯৯]
উপরুল্লিখিত
বইটাতেই ভারতের বিভিন্ন ভাষায় ম্যানিফেস্টোর তৎকালীন প্রকাশনের ইতিহাস আছে। বাংলায়
১৯২৬ সালে প্রথম অনুবাদ করেন সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯২৭ সালে উর্দুতে আংশিক অনুবাদ
করেন আব্দুল রাজাক মলিহাবাদী। বাংলা অনুবাদ ধারাবাহিক গণবাণী পত্রিকায় বেরোয়। উর্দু
বেরোয় আল-হেলাল পত্রিকায়। ১৯২৮ সালে মারাঠিতে অনুবাদ অরেন গঙ্গাধর মোরেশ্বর অধিকারী।
সে বছরই তামিলেও কোনো পত্রিকায় ধারাবাহিক অনুবাদ করা শুরু করেন পেরিয়ার, অর্থাৎ ই.
ভি. রামাসামি। যদিও পুরো করতে পারেন নি। মলয়ালমে প্রকাশিত হয় ১৯৩২ সালে। অনুবাদ করেন
ইডাপল্লি করুণাকর মেনন। ১৯৩৩ সালে তেলেগুতে অনুবাদ করেন খ্যাতনামা কম্যুনিস্ট নেতা
পি সুন্দরাইয়া। গুজরাটিতে ১৯৩৪এ অনুবাদ করেন চন্দ্রভাই ভট্ট। সে-বছরই হিন্দিতেও প্রকাশিত
হয় – অনুবাদক অযোধ্যা প্রসাদ, মীরাট ষড়যন্ত্র মোকদ্দমায় অভিযুক্ত। বেরোয় ঝাঁসি থেকে।
১৯৩৮ সালে ম্যানিফেস্টো ভগবতী পানিগ্রাহীর অনুবাদে ওড়িয়ায় প্রকাশিত হয়। ১৯৪৪ সালে পাঞ্জাবি
ভাষায় প্রফেসর রণধীর সিংএর অনুবাদে প্রকাশিত হয়।
এভাবেই কম্যুনিস্ট
ম্যানিফেস্টো এই উপমহাদ্বীপে ঢুকে পড়লো। সে সময় স্বাধীন হতে থাকা সমস্ত দেশের দিগন্তে
ছিল সমাজবাদী দুনিয়ার আলো। মানবতার সংগ্রামটাকে এগিয়ে নিয়ে চলার সে দিনগুলোয় ম্যানিফেস্টো
কোন তারিখে ছেপেছিলো সেটা মনে রাখার, বা উদযাপন করার বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছিলো না। প্রযুক্তি-সৃজিত
এই ভার্চুয়াল জগতটা ছিলো না যাকে সোশ্যাল মিডিয়া বলে জানি। বছরের প্রতিটি দিনকে কোনো
না কোনো বিশেষ দিন রূপে উদযাপনের ডাক দেওয়ার চলন ছিলো না। মানুষ যাতে তার অতীতে অবগাহন
করতে না পারে বা ভবিষ্যতের চিন্তা করতে না পারে তার জন্য তাকে ‘লিভ ইন দ্য নাউ’ বা
‘আজ বাঁচো’র দর্শনে বুঁদ করার চক্রান্ত তখনো ছিলো কিন্তু এত বলশালী ছিলো না।
কিন্তু আজ,
সোভিয়েত বিপর্যয় ও পূর্ব ইওরোপের দেশগুলোয় সমাজবাদের পতনের পর রোজকার ভাবধারাগত রণক্ষেত্রটা
অনেক ভাবে বেড়ে গেছে। ১৯৯৯এ ফিদেল কাস্ত্রো ‘ভাবধারাগত যুদ্ধের’ ডাক দিয়েছিলেন। ১৯২০
সালে ভারতের বামপন্থী প্রকাশকেরা দিল্লীর লেফটওয়র্ড বুক্সের উদ্যোগে কম্যুনিস্ট ম্যানিফেস্টোর
প্রথম প্রকাশের দিন ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘রেড বুক্স ডে’ বা লাল বই দিবস হিসেবে উদযাপনের
ডাক দেয়। ২১শে ফেব্রুয়ারির দিনটা বিশেষ করে এই কারণেই বাছা হয় কারণ সেদিনটাকেই প্রথমে
ইউনেস্কো ও পরে রাষ্ট্রসঙ্ঘ ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ম্যানিফেস্টোর
পথে, অর্থাৎ বৈজ্ঞানিক সমাজবাদের পথে মানুষের মুক্তির ভাষাই বামপন্থার মাতৃভাষা।
১৯২০ সালে দক্ষিণ
কোরিয়া থেকে ভেনেজুয়েলা অব্দি ৩০,০০০ মানুষ জনগণের মাঝে এসে নিজের নিজের ভাষায় ম্যানিফেস্টো
পাঠ করেছিলেন। সে ছাড়া সেদিন একটা সংগঠনও তৈরি হয়েছে – ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ লেফট
পাব্লিশার্স (বামপন্থী প্রকাশকদের আন্তর্জাতিক সঙ্ঘ)।
এবারের ২১শে
ফেব্রুয়ারি সকালে …
আমি তো পড়বো,
বাংলায় কম্যুনিস্ট ম্যানিফেস্টো! বলবো, সবার মাতৃভাষার জয়! সব দেশে সমাজবাদের জয়! আপনারা?
No comments:
Post a Comment