কুয়াশা তো চিরকাল
দৃষ্টিকে আসক্তি দেয় বেশি।
দাম্ভিকের রসায়ন
নয়। নৈসর্গিক।
পৃথিবীর ঘাম –
কার্বনের ব্যস্ততার
কাছে ডাকে।
কোনো যুক্তি কুয়াশার
সাথে কখনো হারে নি তবু
রাণার মৃত্যুতে সোভিয়েত
পতনের ভূমিকা অনিবার্য ভাবায়
কত বিবর্ণ আত্মসংহার
এই আঠেরো বছরে –
বিকৃতির অভিসার,
অন্তরালে –
হতো কি?
জীবনের শিশুপাঠে যদি
পৃথিবীর একভাগ স্থলের
মতো ওই অভিধা, প্রাণোষ্ণক,
ডাকতো, “চলে এসো, আরো প্রশ্নে, অনুধাবনে, আত্মপরিচয়ে, একসাথে” …?
ডাকতো অনুশীলনে;
অনুশীলনেরই কথা বলি
আশা ও নিরাশার কাটাতে এ্যালকোহলিক –
কুয়াশাই তবু চিরকাল
দৃষ্টিকে আসক্তি দেয় বেশি।
আঠেরো বছরে
ভ্রাতৃঘাতী আত্মপরিচয়ে,
সগৌরবে
ক্ষুদ্রতর হয়ে চলেছে
মানুষ।
২৩.৬.২০০৮
No comments:
Post a Comment