দেবানন্দের গাইড মোটামুটি সময়ে দেখেছিলাম,
প্রথম দিনের ম্যাটিনিতে গেঞ্জি না ছিঁড়লেও,
দেরি করিনি। ওয়াহিদার নাচ ছেড়ে,
ডেঁপোর মত ফলি মিস্ত্রির
সিনেমাটোগ্রাফির তারিফ করেছি।
তবে গাইডদের ভালোবেসেছি তার অনেক আগে থেকে।
বলতে গেলে সেই প্রথম, তাদের পাশ কাটিয়ে ঢোকার দিন থেকেই।
কোথায় আর ঢুকব? – অতীতে, হাজার বছর,
মানে ওই পাথরের থাম, বারান্দা, সিঁড়ি, গম্বুজ, প্রতিধ্বনি …
ভেবেছিলাম হেঃ, পয়সা দিয়ে এদের কাছে আবার কী জানব
সাচ্চা ইতিহাস, ঠিক তখুনি চোখ পড়ে গেল –
রোগাপাতলা গাইড রুমাল দিয়ে কষের থুথু মুছে গল্প বলছে
একরাশ স্কুলপড়ুয়া বাচ্চাদের ভীড়ে আর কয়েকজন
উটকো জ্যাঠা কান লম্বা করে
রিলিফ ক্যাম্পে আড়তদারের দালালের মত ঘেঁষছে।
নিজেদের চিনতে দেরি হল না।
আর কী, বাইরে চায়ের দোকানে ধরলাম বস্কে, চা খাওয়ালাম।
বস্তুতঃ পাথরের গল্প কান পেতে শোনা ক্ষুধিত পাষাণ থেকে নয়
ওদের কাছ থেকেই শিখেছি।
হ্যাঁ, ক্ষুধিত পাষাণ শিখিয়েছে প্রয়োজনে অন্ধকারে
আলোর স্তিমিত ফোকাসে এগিয়ে গর্জন করা, “সব ঝুঠা হ্যয়!”
৬.৯.২২
[পুরোন লেখার পুনর্নির্মাণ]
No comments:
Post a Comment