একটি সাদা কাগজের সামনে বহুক্ষণ ধরে বসে আছি।
যদি পদ্য লিখি, কালো কালো অক্ষরে, শব্দে, বাক্যাংশে,
কাগজের বাঁদিক ধরে ফুটে উঠবে তটীয় ভুগোল
– পাহাড়,
সিঁড়িক্ষেত, বালুকারাশি
মাঝেমধ্যে স্তবক শেষ হলে ফুটবে নদীপথ ...
মিশবে ডানদিকে, শ্বেত সফেন সমুদ্রকল্লোলে;
আদৌ আছড়ে পড়বে কিনা তটে, ফিরে যাবে কিনা ফসফোরাস রেখে সেই সমুদ্র,
তা কিন্তু বলবে না পদ্যের ধরণ – ছন্দোবদ্ধ না
মুক্ত, সমপর্ব না ভাঙাচোরা ...
বলবে নিহিত প্রাণ, যা পদ্যেরই প্রাণ, যেখানে
পাথরও ততটাই প্রাণবন্ত যতটা ঘাস, মৃত মাছ এবং জীবিত মানবশিশু
যদি গদ্য লিখি
তখন আবার এই তটীয় ভুগোল বা সমুদ্রের প্রশ্ন থাকবেনা,
চিহ্নিত হবে মার্জিন যা পদ্যেও ছিল, কিন্তু উপেক্ষিত;
এই মার্জিন শব্দটি আবার ভিন্ন অর্থ নেয় সমাজের আলোচনায়, ইতিহাস,
অরণ্য বা নদী ব-দ্বীপ থেকে উঠে আসা অবিচারের
খবরগুলিতে,
যদিও তার সাথে লিখিত গদ্যটির কোনো সম্পর্ক
থাকুক বা না থাকুক
কিছু যায় আসে না তাতে
অবশেষে থাকবে সাদা বা ব্যর্থলেখায় ব্যবহৃত,
নষ্ট কাগজ
খুব বেশি হলে নৌকো বা উড়োজাহাজ বানিয়ে
শিশুকে খুশি করতে পারি কিছুক্ষণ, তাও যদি সে
আদৌ পছন্দ করে এসব বোকা-বোকা খেলনা ...
অরিগ্যামি আমি শিখিনি।
শুধু গন্ধের স্মৃতি আছে –
ছোটোবেলায় পড়া ‘প্রবালদ্বীপ’এর কাগজের
টেক্কামার্কা দেশলাইয়ের মোড়কের
ট্রেনের পাঞ্চ টিকিটের...
আর স্মৃতিচর্চা আমি যতটা পারি পরিহার করে চলি আজকাল।
ব্যাঙ্গালোর
৬.১১.২০
No comments:
Post a Comment