১
ছাত শূন্য, পায়রাগুলো উড়েছে খাদ্য খুঁটে আজ সকালের।
এবার আসবে
সন্তর্পণে মেধাবী বেড়াল, গলাটা উঁচিয়ে
নাগালের
জানলাগুলোয় দেবে তীক্ষ্ণ উঁকিঝুঁকি – খাদ্য পাবে?
মনোমত?
স্নেহও পাবে কি? … খাদ্য ও স্নেহের
এই পাশবিক
বুভুক্ষাই
কি বস্তুতঃ করে তোলে ঈষৎ হিংস্র-সন্ত্রস্ত চোখ?
তবু তো
সে ডাকে, সবিরাম, জানালার সুবাস বুঝে কান্নায়;
এমনকি
বেছে খায় মাছমাংসডিম, জৈবনিক প্রয়োজনে …
ওরা তাও
নয় – ওই যে ছেলেরা, ভীড়ের ছায়াছন্ন কোটরে
রুমালের
ভাঁজে ডেন্ড্রাইট আঠা, শুঁকছে চাখছে মাঝেমধ্যে!
চোখদুটো
হিমাঙ্কের নিচে নিষ্প্রভ – মৃত্যুকে সহবাসে জানে।
২
আমরা কি
বহুবিধ কঠিন ব্যাধির সাথে বাঁচতে শিখি নি?
তুলি নি
রঙীন ছবি-ভিডিও, জেদে বাঁচার প্রেরণাসঞ্চারে?
মেনেছি
তো কিছু রোগ মাত্রা আনে ভিন্ন বরং, জীবনের বোধে;
নেচেওছি
রিয়্যালিটি শোএ, ব্যথা দেখিয়েছি, লুকোচ্ছি বুঝিয়ে।
মানতে
বাধা কিসের – ব্যাধিশাসিত
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে দেশ;
অপরাধ
অপরাধ নয়, অস্বাভাবিক ক্ষণের উন্মত্ত হিংস্রতা।
তাই শাস্তি
নয়, পথে বরমাল্যে অভিষিক্ত ঘাতক, ধর্ষক –
গর্বিত
স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে, উন্নয়নী যুগে।
৩১.৩.২২
No comments:
Post a Comment