নিজেরই
দোকানে পাওনাদারের মত এসে
হিসেবের
খাতায় আঙুল রেখে বেঞ্চে বসে আছি।
বার বার
চা খাওয়ার অনুরোধ ঠেকিয়ে রাখছি
পেন্সিল
দিয়ে ঘাড় চুলকোতে চুলকোতে।
আজকের
কবিতাটা পেলেই চলে যাব।
খুব মুশকিল
বোঝা এসময়
কেই বা
ঈশ্বর আর কেই বা মানুষ।
খদ্দেররা
দোকানিকে যেমন চেনে
আমাকেও
চেনে, ওই ওদেরই মত যারা
চা-পাতা
দিয়ে যায়, বিস্কুট, নোন্তা-মিষ্টি …
ভাগ্যিস
কেউ জিজ্ঞেস করে নি, “দেখি ভাই,
কী আছে
স্টকে বিস্কুট?”
বলা যায়?
আজকের কবিতাটা নিয়ে
তবেই যাব
বলে হত্যে দিয়ে আছি সকাল থেকে।
বেলা বাড়ছে।
ছায়াহীন হচ্ছে বসত।
খদ্দেররাও
বোঝে, না দোকানদারি ফাঁকি দিতে চায়
না পাওনাদারি
তাড়া দিয়ে ভন্ডুল করতে চায়
ঈশ্বরপানা
এই বেলার রোদটা। হাসে।
কবিতা
তো দিতেই হবে আজকের কিস্তি –
হাতবাক্স
খুলে দাও বা কোঁচড়!
পেলেই
বাজবে স্কুলছুটির ঘন্টা আর দেদ্দৌড় হোহাল্লা।
১১.৩.২০২২
No comments:
Post a Comment