জেনারেল তো
জেনারেলের মতই –
এক আদেশে সৈন্যদল
ভিন্ন পথ ধরে।
ভাবেন নি ফ্রেড একদিন তাঁর জেনারেলি গুণ
ফলাবেন নিজেরই ওপরে।
‘পারত না মুর, নিজের যত্ন নিতে?
মরার ছিল, কাজের
মাঝপথে?’
জেনারেল তো যুদ্ধে
থাকতে চাইতেন,
শ্রমিকদলের বিপ্লবী
অভিযানে!
পরে আবার খবর লিখতে,
মহাদেশে দৌড়োতে চাইতেন,
যখনি লড়ত রাজার গুষ্টি,
তাল দিত ধনিক,
নতুন দেশের দখলসন্ধানে
... !
খুঁজছিলেন ইতিহাসে
মেহনতের গীতি;
প্রকৃতিতে খুঁজছিলেন
জন্মযাপন রীতি;
শ্রমমুক্তির যোদ্ধা দুজন বন্ধুত্বের প্রগাঢ় বন্ধনে,
আজীবন নির্বাসিত, বাঁচছিলেন দিনবদলের পথের উদ্ভাবনে। ...
মুরটা সব পন্ড করল
মরে।
খোঁজো রাস্তা এবার
তার পান্ডুলিপি ধরে!
আঠেরো বছর
কেরানিগিরি করলেন
যাতে মুর থাকে নিজের
কাজে;
কাজটা পুরো না করে,
এখন মরাও সাজে? ...
কেমন ব্রিটিশ ম্যুজিয়ামে
পাগল হয়ে ছুটত!
রুটির পয়সা নেই, ওষুধের
ঠিক নেই,
বিকিয়ে যাচ্ছে ঘরের
বাসনপত্র।
মেয়েগুলো ঘরে,
ওদের স্কুলের মাইনে নেই,
ছেলেটা
তো মরেই গেল …
তাগাদাওলা সামলে
যাচ্ছে জেনি,
পুরোনো ঝি হেলেনও
তৎপর। ...
মূর শুধু দু হাত
দিয়ে মানবসম্ভাবনার
উৎসমুখের সরিয়ে
যাচ্ছে পাথর।
...
কি আর করেন, বিপাকেই
যাহোক,
দশ বছরে গড়ে তুললেন
মূরের মহাগ্রন্থে –
দুই বন্ধুর যুগ্ম
সফলতা।
পারলেন। – জেনারেল বলে কথা।
ব্যাঙ্গালোর
২৯.১১.২০
No comments:
Post a Comment