ইতিহাস খুঁজছ? এস, রান্নাঘরে যাই।
গন্ধ পাচ্ছো ফুটছে গরম বেগুন,
মুলো, পানিফলের ঝোল?
জলার ভিতর, মাটির নিচে ভগ্নমূর্তি পেতে
হারিয়ে যাওয়া প্রাসাদ ছুঁতে, ছাড়িয়েছ গোছা গোছা শিকড়,
সেগুলোই যে ইতিহাসে হাতের কোলাহল!
শোনোনি? – সব এসেছে বেলায়, রান্নাঘরে।
চোর লুকোনোর গল্প হল ক্ষেতে বড় বেগুনের তারিফ ! ...
বেনেবৌদি রাঁধছে। না, আঁতকে না, হেসে বলল, বসুন।
ওই হাসি ধরেছে মুখ অনেক লড়াই করে।
আঁচলে হাত মুছে একটা চেয়ার দিয়ে গেল।
একটাই। – অন্য জনের আছে বিছানা।
বৌদি চায় আমি বসি। তুমি বসলেও মহাভারত
অশুদ্ধ হবে না।
ওপারে কোনো বাগান নেই, তবু
রান্নাঘরে, ছোটোই হোক জানলা আছে খোলা।
ছিল না। এখনো মোটা মাথায় নেই।
ইতিহাসই দিয়েছে কানমলা।
ফোড়নের যে ঝাঁজ, সেও গল্প। বছরে একবার
রান্নাঘরে বহুদূরের ছড়িয়ে সুবাস
সুর তোলা অচেনা এক ডাকে
বসত থেকে বসতে গিয়েছে ইতিহাস।
বোস, খাবে, রুটিটা হোক। গোল হবে সবকটি।
আঁচে ফুলবে। কী? পূর্ণিমার পরের সাঁঝের চাঁদ!
এখনো ঘরের নতুন মেয়ে এক সময়ে শেখে
রুটি করা। সুদিনের প্রাচীন প্রবাদ।
ব্যাঙ্গালোর
৭.১২.২০২০
No comments:
Post a Comment