কাল সন্ধ্যেয় ওই ছবিটা দেখছিলাম রাজীব।
বর্ষণক্ষান্ত ভোরে নন্দনকাননের
প্রায়ান্ধকার দোতলার ঘরে জানলার সামনে বুদ্ধদেব ঘোষ,
আধছায়ে ডানে তপনবাবু (সেনগুপ্ত), দিল্লীর, বাঁয়ে তুমি,
আমি ক্যামেরার পিছে অদৃশ্য অবধারিত ...
জানলার বাইরে নিচে বাগান – বৃষ্টি দু’দিনের
বুঝতে দিচ্ছেনা আশ্বিনের ছোঁয়াচ – ওখানেই
ছোটো গেট ছিল একটা
দেয়ালে;
বিদ্যাসাগরমশাই
হাতে হোমিওপ্যাথির বাক্স, তেলের বাটি এবং/অথবা
কোঁচড়ে কলকাতা থেকে আনা উন্নত শস্যবীজ নিয়ে
বেরুতেন –
এখন সেসমস্ত গ্রাম তিনটে ব্লকে ভাগ হয়ে গেছে;
কর্মাটাঁড় বিদ্যাসাগর ব্লক ইদানিং ...
আমরা বসে আছি যেন বুঝতেও পারিনি আজ
তাঁর দ্বিশততম জন্মদিনেও তিনি বেরিয়ে যাবেন
তাও এত ভোরে – শুনলাম মারাঠি গ্রামটায়,
তাই বেলা করে ফিরবেন।
বসে আছি, উনি এলেই ধরব, পায়ের ধুলো নেব, মালা
পরাব গলায় আর মানে ওই সব যা যা করি আমরা
আজকাল ...
তুমি তো আবার সমালোচনা থেকে বেশি
কাজ করায় বিশ্বাস করতে, ভাগলপুরের গাছগুলোর রক্ষণ,
বিদ্যালয় জীর্ণোদ্ধার, রোজ সকালে তুলসীর একটি করে দোহা ফেসবুকে,
সারা বিহারে বাঙালি সমিতির বলতে গেলে সাংবাদিক ...
একদিন আগেই তো মেয়ের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেঃ
রক্তদানী মেয়ের গর্বিত পিতা আমি ... আর
কাল ভোরে বাইকে ভাগলপুর থেকে ফরবেসগঞ্জ যেতে যেতে
ছবি থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলে হঠাৎ কুয়াশায়!
এ কেমন কুয়াশা আমাদের চারদিকে?
ব্যাঙ্গালোর
২২.১২.২০
No comments:
Post a Comment