একটা
গাছ পেরুনো মানে যে একটা বিশ্ব পেরুনো
এ কথাটা
কবে যে কে মনে ঢুকিয়েছিল মনে নেই।
আর এও
জানি না কথাটার জন্য ধন্যবাদ
কাকে
দিতে হতো –
গাছ,
না আকাশ, না পাখি, না পাশের মানুষটাকে।
একটা
গাছ পেরুনো একটা জঙ্গল পেরুনো থেকে
অনেক
বেশি কঠিন;
জঙ্গল
তো বাইরে দিয়ে পেরুনো যায়,
গাছের
যেহেতু ভিতরটা অনধিগম্য
তাই
বা’র বলেও কিছু রাখে না,
পেরুতে
গেলে তার বিশ্বটাই পেরুতে হয়।
সে বিশ্বও
আবার
আমাদেরকে
শামিল না করে নয়;
পেরুতে গেলেই
দেখি
– পাতায়-আলোয়,
ডালে-খড়ে-ডিমে,
গেরস্ত
পাখিদের কিচিরমিচিরের হাটের
সব কাজ,
ফুলে-ফুলে,
ফলে-মূলে
রেণু
ও রসের সঞ্চার
নিজের
মত হতে দিয়ে
আমাদেরকে
শিকড়ে টেনে বসায় –
মাঝখানে
ঠেলেঠুলে বসে
গল্প
হতে তৈরি হয়
আদ্যিকালের
রসালো বুড়ি!
আর,
সেকি আজকের গল্প?
কখন
যেন গাঁটে গাঁটে ব্যথায় টের পাই
শরীরে
অবস্মৃত শিকড়গুলো ফুটছে বেরোবার চেষ্টায় …
সন্ধ্যে
হতে শুরু করলে,
দু-একটা
তারা দেখা দিলে আর পেরুনোও যাবে না।
২৮.৫.২৫
No comments:
Post a Comment