শুনেছি জাইস আজকাল শুধু
উপগ্রহে বসান ক্যামেরার লেন্স তৈরি করে
অবশ্য নোকিয়ার দামি ভার্শনগুলোও
ফলাও করে লেখে জাইস,
ডিজিটালে লাইকা জাইস ব্যবহার করে কিনা
জানি না; হ্যাসেলব্লাড হলে করত
কিন্তু সে তো এ্যানালগেই ছিল জানি
বাবার জাইস-আইকনের
নিগেটিভগুলো রোঁয়া খাড়া করে দিত যখন
নিজের নতুন ঘরোয়া ডার্করুমের রক্তাভ আঁধারে
এনলার্জার থেকে ডেভেলাপারে ফেলতাম প্রিন্টটা
কী অদ্ভুত সামঞ্জস্যে পুরো ফ্রেমটা ভরে উঠত
চিয়ারোস্কুরোয়!
মরে যাওয়া বড়দি যেন ধিকিধিকি ফুটে উঠতো যৌবনে
মেটল-হাইড্রোকুইনলের রসায়নে!
অবশ্য ভালো লেন্স থাকলেই রঘু রাই হওয়া যায় না
হওয়া যায় না কিশোর পারিখ
আর হওয়া না হওয়ার বাইরেও তো অনেক টান থাকে হাওয়ায়
বাবা তো সেই হাওড়া ব্রিজ তৈরি হওয়ার আগেই
পন্টুন পেরিয়ে বাংলা ছাড়ল
সে স্টুডিও আর রইলই না
তোর কোন লেন্স ছিল জানিনা দানিশভাই!
হয়ত জাপানি ব্রান্ডগুলোরই ছিল – নিকন, ক্যানন, সোনি …সত্যি বলব?
তোর ছবিগুলো দেখেও তত জ্বলিনি ঈর্ষায়
যতটা তোর মৃত্যুর খবরে জ্বলেছি।
নাই যেতিস তুই,
আমিই যেতাম।
এখন তো আরো অনেক উদ্বাস্তুতে ভরে উঠবে পৃথিবী!
রক্তার্ত ধনিকদের স্বপ্নে
অক্ষাংশে দ্রাঘিমায় পিনে গাঁথা হচ্ছে সম্ভাব্য ফ্ল্যাশপয়েন্টগুলো।
৩.৯.২১
No comments:
Post a Comment