মানুষটি
নিজের বা নিজ মানুষীর নিসন্তান
যৌবনযাপনে
কত কিছু খোয়াল, বইল! বিয়ের
দু’বছরে বোন পুড়ল আগুনে, তার হিসেব নিতে নিতেই
ভাই মরল
মস্তানদের গুলিতে আর পাল্টা এফআইআরে
আদালতে,
পুলিসে সাত বছর। ভাই-বৌটার, তার সন্তানের
খবর রাখা
রোজ –
লেখাপড়া, রোজগার
… অপিচ
জনপদ-অন্ত
প্রাণ – দরজায় টোকা পড়লেই
জামাটা
গলিয়ে ঠিক বেরিয়ে পড়া মিছিল ধরতে
বাজারমোড়ে।
অথবা জনপদের গর্ব, পুরোনো গ্রন্থাগারটির
শতবর্ষ
আয়োজনে। রেলগেট
পেরিয়ে
সার-বীজের দোকানে গিয়ে বন্ধুর
খোঁজখবর
নিতে নিতেই ট্রেন ধরা আটটা-পঁয়তিরিশের,
এবং বিকেলেও,
হাজির থাকা রাজধানির চৌরাস্তায় সমাবেশে;
সবচেয়ে
শান্ত দৃঢ় কন্ঠস্বর হয়ে যে কোনো বৈঠকে,
এই তো,
সেদিন অব্দিও।
বহুদিন
পর কথা হল ফোনে, অনেকক্ষণ।
দু’বছরের অতিমারি-কালে তার নিজের নানা অসুখেই
মৃতপ্রায়
হয়ে এখন কিছুটা ফিরে আসা,
যদিও নিঃসংশয়
নয় তবু খাপরার ছাতটা তো ঢালাই হয়েছে আর
রোদে পিঠ
দিয়ে বসা যায়, কাগজের খবরে কিছুক্ষণ।
ফোনে তার
কন্ঠস্বর ধরে যাই সে জনপদের কলস্বরে,
উন্নয়নী
ধুলোয় কালো কুয়াশা ঝেড়ে গা থেকে
পুনপুন
যেখানে মিশেছে গঙ্গায় এবং নতুন সেতু পেরিয়ে
রেললাইন
দৌড়োচ্ছে হিলসা, ইসলামপুর।
নবাবী
আমলের বিখ্যাত মেঠাই কিনি, মির্জই,
স্টেশনে
ঢোকার বাঁকে, ফলসার নিচে দাঁড়িয়ে –
ফলসাগুলো
পাকবে, কাল আমি বা সে না থাকলেও …
যাব, খুব
শিগগিরই একদিন, যাব নিশ্চয়ই কমরেড!
ভাবীর
হাতে খিচুড়ি খাব না, টাটকা দই মেখে?
১.১.২২
No comments:
Post a Comment