তাজ্জব লাগে – আজ কি? সেই ডাকাতপড়া যুগে,
বছর ষোল বয়সে এক অভিমানী ক্ষণে,
পাড়ি দিলেন হাজার মাইল হিমালয়ের বুকে –
পৌঁছতে তিব্বত, হিম নির্জনারোহণে?
চিরাচরিত সুখশান্তি ভেবে অন্ধকূপ,
তালাশ করতে বুদ্ধ-সঙ্গে স্রষ্টার অরূপ?
ভিক্ষুরাই খেপলো এমন মেরে ফেলত তাঁকে!
বেঁচে গেলেন তিব্বতি মা-মেয়ের ‘চুবা’র ফাঁকে।
পাটনায় আর বেনারসে, আরবি-ফার্সি শিখে, বসে
ধর্মে ধর্মে ভেদাভেদের ছিঁড়ে দিলেন ভেক!
মুর্শিদাবাদ গিয়ে শেষে, রুজির দমে ছাপিয়ে প্রেসে
‘তুহফৎ-উল-মুবহ্হিদীন’, বললেন ঈশ এক!
বাচ্চা বয়স থেকেই যেন শাস্ত্রবিচার পাকা!
পাঁচ শহরে টাকা করে ফিরে কলকাতায়
তর্কযুদ্ধে খবরকাগজ করলেন তিন ভাষায়,
সব ধর্মের পুরুতগিরির গুমোর করতে ফাঁকা।
●
শিক্ষা চাই, দীক্ষায় চাই আধুনিক মনন!
কলেজও গড়লেন, তবু শান্ত না হয় মন –
স্মৃতি সজল করে কত মা, পিসি, দি …, বৌদির স্নেহ!
অথচ রোজ নারীহত্যার রোল বাজে কানে!
বন্ধ তো করলেনই – চিতায় তোলা, তাদের জ্যান্ত দেহ!
দেখালেন, মা-র হক সমান, শাস্ত্রেরও সন্ধানে।
বিদ্বান? নাকি ব্যবসাদার?
ভাবুক? নাকি ধর্মকথক? নাকি কর্মদৈত্য?
আগুনঘোড়া এমনি হয়,
বেতো লাশ মুরুব্বিদের ছিলেন চোখের বিষ তো!
মেপে নয়, নিজের মতন লম্বা পায়ে হেঁটে
নতুন যুগের স্থানাঙ্ক সব লিখে গেলেন স্লেটে,
চকখড়িতে! প্রাণযাপনে এগিয়ে সেই ধারা,
আজও দিচ্ছে দা, কাটতে অন্ধকারের দাঁড়া।
জাহাজ চেপে পাড়ি দিলেন একাই,
চাষীর প্রতি অন্যায় যা চলছে, বিহিত চাই। …
রাজার সাজ দেখল না তাঁর মুন্ডেশ্বরি
অ্যাাভনেরই জলে আজও সোনা।
১৭.১.২২
/ ২২.৫.২২ / ২০.৪.২৩ / ২৭.৯.২৩
No comments:
Post a Comment