এক পহরের রাতটা যখন কাশে পাড়ার মোড়ে,
কেউ জাগে সব জানলাগুলোর আগাম খোশখবরে।
ছড়ায় যখন তারার আঁচল পাহাড়গুলোর বাঁকে,
টালমাটাল উঠতে কেউ তারায় হাতের ভরটা রাখে।
কেউ বা কালের জল তোলে এক প্রাচীন কুঁয়োর
ঘুমে,
জলের শব্দ আঘাত করে বুক ভাঙা নিঝ্ঝুমে;
দিনগুলো ভোজবাজির সর্বস্বান্ত উত্তেজনা,
লক্ষ মানুষ মাতাল – শুঁকছে মৃত্যুগন্ধী
সোনা...
ঘুমের জলে, তারার ভরে, আগামীর সংবাদে,
জেদটা কষের রক্তে থাকে আশার লবণস্বাদে।
এত ভাষা, এত আকাশ, এত মেঘের দেশে
ঝড়ের বিকেল আগুন ধরায় পথের স্মৃতিরেশে –
শক্ত চোয়াল, শুকনো চোখে, পচনধরা খালে,
দুর্বিষহ বেঁচে মরার অধৈর্যে, ভুলভালে
ভাবের যত আয়না তত চলটে-ওঠা পারা,
ভিতর থেকে ভেংচি কাটে আধখ্যাঁচড়ার দাঁড়া।ভোজবাজিটার ডাকে তবু কানে দিয়ে তুলো
একটি রুমাল যত্নে ঝাড়ে নিজের মেঘের ধুলো।
No comments:
Post a Comment