যখন চলে গেল, মাটিতে শোয়ানো তার শরীর
ভোরের আলোয় এত শান্ত, এত মননশীল, যেন
শিক্ষক
এখুনি মৃদু হেসে সময়ের সহজ ও ঘৃণ্য সত্যগুলো বলবেন।
তার বিষয়ে এখন যখন কথা বলছি নিচু স্বরে,
শোকস্তব্ধ কালরাত্রে তার দুষ্টুমিগুলোই
এমনভাবে বলছি যেন এগুলো তার
মূল্যবান অবদান ছিল জীবনকে দেওয়ার,
সে জেনে বুঝে দিত, দেওয়ার কাজ শেষে
চলে গেছে নির্দিষ্ট সময়ে।
যেন ঈশ্বরের অবতার ছিল!
আর সত্যিই তো তাই সে, এই মুহূর্তে যখন
নরকের অক্ষম গোলাম ছাড়া কিছুই আমরা নই।
পুনরায় একটি শিশুর মৃত্যু
গাছের ঝুরমুটের ফাঁকে কাল দেখা গেছিল নীলাভ
ভোরের প্রথম নদী ও পালতোলা এক নৌকো -
খামের ভিতর থেকে উঁকি দেয়া অক্ষর, কোনো
চিঠির
এ ছবি লিখিনি যার জন্য দাঁড়িয়ে থেকে সারারাত
এই বাচ্চা ওয়ার্ডে, সেও অক্ষর ছিল, প্রথম
অক্ষর
পুরো চিঠিটা লিখতে হত আমাদের
ভালো চিঠি লেখা জীবনের খুব জরুরী ও দুরূহ সংগঠন।
অসফল হই বহুবার, কখনো চিরকালে হারিয়ে যায় লেখার
সুযোগ।
রোদ ওঠে, গরম হয়, নৌকোর পালে এবং শূন্য কোলে -
একসাথে দাঁড়ায় কাঠগড়ায়
আমাদের মুখ, দুনিয়ার পরিসংখ্যান আর ওই
সিলিন্ডার, অক্সিজেনহীন,
রাতের রহস্যময় বিমান থেকে পড়া না-ফাটা বোমা যেন।
একটি অক্ষর অক্ষরেই শেষ হয়
নৌকা কিছু বলে না, অনেকদিন, শুধু
জেগে থাকে,
অশান্ত করে তোলে সব ভুল একান্তবাস,
জেগে থাকে গাছের ঝুরমুটের ফাঁকে
নদীর নীল কোটে বিজয়-চিহ্ন হয়ে।
No comments:
Post a Comment