ঘরের কথার দ্বন্দ্ব বাড়ে।
কোন সে ঘর? কী কথা?
আমিই কোন দ্বীপান্তরে?
সবার ভাগেই থাকে ফাঁকির
সময় নিয়ে বাঁচার সাজা –
দশকগুলো পোড়ে হাওয়ায়
মগজ বিষোয়, অন্ধ করে।
কবীর ডাকল যুগের হাটে,
হাতে দিল আকাশবীণা,
ঘর দিল পোড়া ভীড়ে,
দাস, কারূক, ফৌজি, চাষির;
ঘর পেল বনজারিনের
মুঠোয় রুটির সংকেতে নাম!
কলের বাঁশি, আকাল, তোপে
স্বদেশ হল দগ্ধ শরীর।
পাঁচ শতকের পথ পেরিয়ে
এক শতকে, ইতিহাসে –
পা দিলাম, ঘর বাঁধতে,
স্বাধীন উপমহাদ্বীপে ...
‘বিভাজনেই মুক্তি, কাঁটার
বেড়ায় থামুক রক্তক্ষরণ’
খেসারত এ রাজবুদ্ধির,
দিচ্ছি আজও – রক্তে মেপে।
ভারতবর্ষ লড়ে পাওয়া
সমঝদারী, সনাতন না,
এই চেতনায় এঁকে দেহের
চাবুকচিহ্নে মুক্তির মুখ ...
হয়ত ভুলেই ছিলাম, যুদ্ধে
শত্রুর নেই শেষ কামড়;
বিজ্ঞানের চমক নিয়ে,
ফিরল লুঠতরাজের যুগ।
চৌহদ্দি সাবেক গলির,
দেখায় দেশের বিপন্নতা,
বিপন্নতার বিশ্বরূপে,
ঘরের কথার বিষটা মরে –
দরজা খোলে, ঢোকে সাথী,
ঝোলায় কাজের ফিরিস্তি!
হেঁকে বলে, “দেশটা তোর!
সবাই দেখছে, ঠাহর করে।”
৩০.৫.৯১
No comments:
Post a Comment