ধরে নিন
বানিয়েই ফেললাম একটা মন্ড।
স্মৃতির
কুচি দিয়ে – ভালো করে জারিয়ে,
চটকিয়ে
গড়লাম
একটা বেড়াল! না, দুটো বেড়াল,
বা তিনটে
– কথা বলাতে হবে তো তাদের!
একাবোকা
হয়ে থাকবে নাকি তারা তাদের পাড়ায়?
আর প্রথমটার
ঠোঁটে একটু রঙ ছোঁয়াতেই
কষের কাছে
নাছোড়বান্দা একটা নাম, কবেকার,
এত জলে,
এত চটকানিতেও ধুয়ে যায়নি দেখলাম।
চমকে দ্বিতীয়টা
ওঠালাম, দেখি পেটে
আরো একটি
নাম – খুঁটিয়ে দেখতে শুরু করে
অজস্র
শব্দ পেলাম, অস্পষ্ট, কিন্তু ফুটে আছে!
যাকে দেব,
বলব, দেখ বানিয়েছি,
সে যদি
ধরে নিন, বেড়ালের সেই অংশে যেখানে
ডাইরির
কুচিতে ছিল ‘নরক’ – দেখে নেয়?
আর যেমন
হয় আজকালকার
কল্পবিজ্ঞানে
– একটা গহ্বর খুলে যায়
র-এর ত্রিকোণে?
সময়ের ফাটল যাকে বলে?
সে যদি
ঢুকে যায় পাঁশুটে কোনো সন্ধ্যায় আমার?
অবশ্য
এত ভয় পেলেও চলে না।
এমন তো
হয়ই যে কোনো বন্ধু
চাবি দিয়ে
বলে গেল, “একটু দেখিস!
বাড়িটা
বন্ধ থাকবে একমাস!”
সেখানেও
তো একই ভাবে
ঢুকে যাই
তাদের আসবাবের ধুলোয়,
হেঁসেলের
বাসি গন্ধে, স্নানঘরের ঠান্ডায়!
বন্ধ জানলাটা
খুললেই, ঝরে পড়ে
কিছু নরক,
যা স্বর্গ ভেবে গড়ি,
কিছু স্বর্গ,
যা ভেবেও পাইনা কিভাবে হয়ে গেল!
কিন্তু
তাহলে লাভটা কী হল এই
প্যাপিয়ে-ম্যাশে
বানিয়ে?
বেড়াল
তো গড়লাম,
পাড়া কি
পেল তারা নতুন?
আর যদি
আমার ক্ষিন্ন যাপনেই
ফিরে যাই
অস্পষ্ট শব্দগুলো ধরে,
তাহলে
বরং যা আছি, ফার্স্টক্লাস ইয়ার!
নাঃ, তবুও
বানাই!
নিজেরই
অস্পষ্টতা বেড়ালের মত, দিতে
কারো হাতে,
ভালো লাগবে চিরকাল!
সেই হাতই
যদি হয় পাড়া তাদের? নতুন?
১.১২.২১
No comments:
Post a Comment