বড়লোকেরা
শাসকের গুলি খেয়ে মরে না সচরাচর,
ভুল করে
তো একেবারেই নয়;
গরীবেরা
মরে,
গরীব দেখলেই
শাসকের ভুল হয়।
শাসক বলতেই
সশস্ত্র বাহিনী,
বড়লোকের
জন্য নয়,
তাদের
জন্য কোটেপ্যান্টে আধিকারিক –
মানে স্বপ্নে
– উদীয়মান বড়লোক;
গরীবের
জন্য শাসক বলতে
সেই সশস্ত্র
– বাহিনী কিম্বা ঠ্যাঙাড়ে –
সরকারি
বা খুচরো ঠিকেদারি –
মোটামুটি
গরীবেরই পচা নোখ!
কেন্দ্রাঞ্চলে
গুলি খুব কম চলে,
রাজধানীতে
তো কালেভদ্রে –
রক্তমুখী
নীলার মত দুর্লভ, শহরের
মহাফেজখানায়!
সীমাঞ্চলে
প্রায়শই চলে,
সীমার
সুরক্ষা বলে কথা –
স্কুলের
বালিকাও ভুল করে মরে যায়!
আর তারপর
শ্রমিক –
নাগাল্যান্ডে
হোক বা কাশ্মীরে! …
এটাই কি
অনেক নয়!
শাসকের
টিভি-মুখ হঠাৎ দুঃখ-তিমিরে!
সীমাঞ্চল
এমনিতেও
বলতে কেল্লার
কেওয়াড়!
জবর ধরে
আনা বহুবিধ হাঁসমুরগির
গোঙানি,
রক্ত-পালক-হাড়,
থেকেই
যায় শত পরিষ্কারেও।
স্বাধীনতার
পঁচাত্তর বছরেও।
৮.১২.২০২১
Other version
ভুল করে
বড়লোকে শাসকের
গুলি খেয়ে মরে না আকচার,
ভুল করে একেবারেই নয়;
গরীবেরা মরে,
গরীব দেখলে শাসনে ভুল হয়।
শাসক বলতে সশস্ত্র দলবল,
ধনীর জন্য নয়,
তাদের জন্য ধোপদুরস্ত
আধিকারিক – স্বপ্নে ব্যস্ত –
উদীয়মান ধনী;
গরীবের শাসক বলতে
সেই সশস্ত্র – উর্দি সরকারি,
বা ফড়ের ধাড়ি –
মোটামুটি গরীবঘরেই ফণী!
কেন্দ্রাঞ্চলে গুলি চলে কম।
রাজধানীতে চলাও বড় দায় –
সীমাঞ্চলে প্রায়ই চলে, সুরক্ষার ছলে –
স্কুলবালিকাও ভুলে মরে যায়!
আর তারপর শ্রমিক –
নাগাল্যান্ড হোক বা কাশ্মীরে! …
এটাই অনেক নয়?
শাসকের টিভিমুখ দুঃখতিমিরে?
সীমাঞ্চল এমনিতেও কেল্লার কেওয়াড়!
জবর ধরে আনা বহু
হাঁসমুরগির
গোঙানি, রক্ত-পালক-হাড়,
থেকেই যায় শত পরিষ্কারেও।
স্বাধীনতার বয়স পঁচাত্তরেও।
৮.১২.২০২১
No comments:
Post a Comment