১
নিজের
ভিতর চিনতে পারি – জয়?
হামলাটাকে
রুখবার প্রত্যয়,
হামলাদারের
মুখেতে নেই। নীল
আকাশে
যে তাদের গলার মিল
তুলছে
জোর আওয়াজ –
ঐক্যের
কুচকাওয়াজ –
তার নতুন
ছন্দে আছে;
আমিও পাচ্ছি
স্পন্দ তার,
দেশ-লুটের
ফন্দিটার
পাল্লা
দেওয়ার নতুন ধাঁচে,
ভাবুকদেরও
ভাবাচ্ছে দেশময়।
২
কী কী
নিয়ে ফিরছে তারা ঘরে?
ঐক্য ভাঙার
গোপন ছুরি
সমাবেশে,
তাঁবুর ছায়ায়,
লাঞ্ছনার
তকমাগুলো,
কয় দশকের
বুকের জ্বালায়,
দিল্লী
যেন কেল্লা –
দেয়াল,
গড়খাই!
কত পরীক্ষা
নিলে
তুমি নানক
সাঁই!
পথ ফুঁড়ে
বেরিয়ে থাকা
রক্তখেকো
গজাল,
পরাজয়ের
টিটকিরিতে
রক্তের
বেসামাল,
এবং একটি
বছর ধরে
অনিশ্চিতের
ছায়া,
পথেই মৃত
সাতশোখানেক
শহীদস্মৃতির
মায়া।
বৃষ্টি
ছিল রাতে অবিশ্রান্ত,
ভাঙা তাঁবু,
জলে দাঁড়িয়ে ক্লান্ত,
খুঁজেছিল
শক্তি তারা হাজার পরিবারের –
নারীর,
শিশুর স্বরে।
৩
কী কী
দিয়ে আমায়, ফিরবে তারা?
এবং শুধু
তারা?
আগেও তো
চাষীরা
রুখতে
নিজের ভাইদের
আত্মঘাতী
চিন্তা অসহায়,
গড়েছিল
লড়াইগুলো,
বালিতে,
পাথরে, ফাটা পায়ে! …
অতিমারীর
বিবশতার
মাঝেই
এ যাপন,
শেখালো
ধৈর্য্যের
যুদ্ধে
অনুক্ষণ
থাকতে
হলে গড়তে হয়
আনন্দজগত,
সময় যখন
বলে, “এখন
রান্নাঘরও
পথ,
গড়ো প্রতিরোধের পাড়া!”
১১.১২.২০২১
No comments:
Post a Comment