একটা সুর সেই সকাল থেকে ভাঁজছি
খুব উৎসাহিত হলে
ছাতে যাবো চারতলার …
মাঝেমধ্যেই তো যাই
কখনো সকালে,
চায়ের মগটা নিয়ে হাতে
কখনো রাতে
জোরালো হাওয়ায় আর
রাতের আলোর কাঁপনে
কখনো বৃষ্টি এলেই
শরীরের নিঝুমে ভিজতে
আর কোনোদিন ছেঁড়া মেঘে
ধ্রুপদী ভোর বা সন্ধ্যা হলে তো
কথাই নেই
তারা অবশ্য দেখা যায় না আর
লোডশেডিং ছাড়া
আর দেখা গেলেও
কে বলবে ঐ দ্যাখো
কাকে বলবো ঐ দ্যাখ্ …
আমাদের এই ছাতটা গুগ্ল
আর্থে দেখা যায়
আমিও এই ছাতে এলেই
ওপরে তাকাই যেন
চলন্ত উপগ্রহ নয় সিসিটিভির
ক্যামেরা খুঁজছি জাংশনের
শেষপ্রান্তে … যার পর
রেললাইন হাঁটাপুল কুয়াশা
পাঁচ দশক দুটো শতক
(বেমক্কা সহস্রাব্দও একটা)
কিছু গানের সুর হারানো
গান হারানো কিছু সুরের …
ছাতে গাছের ছায়া নেই
কোনোকিছুরই ছায়া নেই
তবে সুরের ছায়া পড়ে গাইলে
নিজের পুরোটা জীবনে
আমারও তো নিমেষে দরজা খুলে
দৌড়ে যাওয়ার নেই
কোনো ঢালু মাঠ চোরকাঁটার
একটা ছাত আছে সটান
দশবাড়ির ভেজা কাপড় পেরিয়ে শেষ চিলতেয়
চিৎ শুয়ে পড়ার
সিমেন্টের শক্ত খসখসে
চেনা সিঁড়ি আছে পৌঁছোবার
সুর থেকে মেজাজ অব্দি শব্দে চলনে
৩১.৫.২০২৪
No comments:
Post a Comment