আমের কথা ভাবায় গাছে গাছে বৈশাখের ঝড় –
ঝরে যাবে? গত বছরও তো কম ঢুকেছে বাজারে!
একেক বছর ছেড়ে – এই চুক্তি, কর্কটরেখীয়,
আমগাছের সাথে আবহাওয়ার, এখানে শাশ্বত!
লিচু তো বিদেশি। দিব্যি লাল ধরে ডাহুক গরমে।
একঝোঁকে মাস্তানি করতে ঢোকে ফলের পট্টিতে!
ঝরা পাতায় খচমচে রাস্তায় গন্ধ বিকেলের
বলে দেয় তার রাজত্ব চলবে চুটিয়ে ক’দিন।
আর জাম? এত শান্ত ভদ্র স্তূপ, বোঝাই যায় না,
কত শিশুর চিৎকারে আকাশ করেছে বেগুনি।
তালশাঁস ধরে ঘনত্ব আলোর। জঙ্গলেই নেমে
হাতে হাতে বিক্রি হয়ে তারপর বাজারে পৌঁছোয়।
মাথায় না পড়াই ভালো, তবে কাঁঠাল নিজেই
মাথা ঘেঁষে পড়ে দারুণ রগড়ে – আঁতকে পেছিয়ে
বাসের ড্রাইভারটি বিড়ি ফেলে দৌড়ে ফিরে আসে
গামছা ভরে তুলতে, গন্ধে ফেটে পড়া কোয়াগুলো!
কলা আর পেঁপের তো আর কোনো মরশুম নেই।
পেয়ারা শীতবর্ষার, তবে ডাঁশা – যদিও বিদেশি –
দেশজ আত্মীয়তায় লুব্ধ করে পাতার আড়ালে,
প্রথম কামড় যেন কামেচ্ছায় জেগে ওঠা দেহ …
বেলের আঠালো সোনার রেশায় যেন সারা রাত
চিন্তার উৎক্ষেপণ শেষে ঋষিদের মগজের দ্যুতি।
আরো কতো স্বাদের বৈভবে গ্রীষ্মে উপমহাদ্বীপ
জেগে ওঠে, সব মনে বন্ধুত্বের দুষ্টুমি বাড়ায়!
১৬.৫.২২
No comments:
Post a Comment