ইদানিং
নিজেকে শুকনো দেখি
যেন বইয়ের ভিতর থেকে বেড়ে ওঠা একটি গাছ,
আর হাওয়া নিছক কিছু একটা অপসৃয়মান ।
লড়ব কি লড়ব না?
সেটা প্রশ্ন নয়
জরুরী আমার গলাটার জোরালো থাকা।
কাজ করব কি করব না?
সেটা প্রশ্ন নয়
জরুরী আমার বিশ্রাম করা, হপ্তায় আটদিন
প্যালেস্টিনিয় ঘড়ির হিসেবে।
গানে ও গণহত্যায় পুনরাবৃত্ত হে স্বদেশ
আমায় চেনাও মৃত্যুর উৎসে পৌঁছোবার পথঃ
সে কি ছুরি? না মিথ্যা?
মনে রাখতে যে আমার একটা ছাদ ছিল যা হারিয়ে গেছে আমাকে বাইরে খোলা জায়গায় বসতে হবে।
স্বদেশের বিশুদ্ধ বাতাসটাকে না ভুলতে আমাকে
নিঃশ্বাস নিতে হবে রুগ্নতায়।
ধবলে সাঁতার দিতে থাকা হরিণদের মনে রাখতে আমায়
বড় স্মৃতির সাথে অন্তরীণ হতে হবে।
না ভুলতে যে আমার পর্বত গুলো উঁচু
ভ্রূ থেকে চেঁছে ফেলতে হবে ঝড়।
সুদূর আমার আকাশের ওপর
বজায় রাখতে আমার মালিকানা
নিজের চামড়াটাকেও
আপন করা আমায় রুখতে হবে।
গণহত্যায় ও গানে পুনরাবৃত্ত হে স্বদেশ
কেন তোমায় তস্করি করি বিমানবন্দর থেকে বিমানবন্দরে
আফিম
সাদা কালি আর ট্রান্সমিটারের মত?
তোমার আকৃতিটা আমি আঁকতে চাই
তুমি, যে ফাইল আর বিস্ময়ের মাঝে ছড়িয়ে রয়েছ।
তোমার আকৃতিটা আমি আঁকতে চাই
তুমি, যে গোলার টুকরো আর পাখির ডানার ওপর বিছিয়ে রয়েছ।
তোমার আকৃতিটা আমি আঁকতে চাই।
কিন্তু আকাশ আমার হাতে টান দেয়।
তোমার আকৃতিটা আমি আঁকতে চাই
তুমি যে হাওয়া আর ছুরির মাঝে অবরুদ্ধ রয়েছ।
তোমার আকৃতিটা আমি আঁকতে চাই
তোমাতে আমার আকৃতি খুঁজে পেতে,
আর তাই আমার ওপর
অভিযোগ আসে বিমূর্ত্ত হবার, দলিল ও ছবি জাল করার
তুমি, যে হাওয়া আর ছুরির মাঝে অবরুদ্ধ রয়েছ।
গানে ও গণহত্যায় পুনরাবৃত্ত হে স্বদেশ,
কি ভাবে বদলানো হল তোমায় একটি স্বপ্নে
আর তুমি চুরি কর কৌতুহল
এমন যে আমাকে একটা পাথরের মত রেখে ছেড়ে যাও?বোধহয় তুমি আরো সুন্দর হয়ে উঠছ
বোধহয় তুমি আরো সুন্দর।
আরবদের ইতিহাসে আর কোনো নাম নেই যা আমি ধার নেব
যা দিয়ে আমি তোমার গোপন জানলাগুলো হয়ে
সেঁধিয়ে যেতে পারি।
সব কটা ছদ্মনাম লেখানো হয়ে গেছে
ভর্তির বাতানুকুল দপ্তরগুলোয়,
তাই
স্বীকার করবে কি আমার নাম আমার একমাত্র ছদ্মনাম
মাহমুদ দারভিশ?
যদি বল আসল নামটার কথা
তা আমার মাংস থেকে ছিঁড়ে নিয়েছে
পুলিসের চাবুক আর কার্মেলের পাইনগুলি।
গণহত্যায় ও গানে পুনরাবৃত্ত হে স্বদেশ
আমায় চেনাও মৃত্যুর উৎসে পৌঁছোবার পথ
সে কি ছুরি? না মিথ্যা?
[অনুবাদ (ইংরেজি থেকে) বিদ্যুৎ পাল]
(13.3.1941 – 9.8.2008)
No comments:
Post a Comment