ইতিহাস ইঁটপাথরে যা থাকে
তার চে' অনেক বেশি থাকে সব্জিবাজারের
শাপলাবেচা নারীটির চোখে।
নবাবী শহরের পশ্চিম দরজা দিয়ে সকালে
যে যুবকটি বেরিয়েছিল,
ভেজা মেঠো রাস্তা ধরে, হাঁটতে হাঁটতে
গিয়ে বসেছিল টিলার ওপরে,
\জানত না টিলার নিচটা লুপ্ত রাজবাড়ি।
রাস্তাটা জানত।
আর তাই আমার শূদ্রাণী সাথিনটির সঙ্গে বেঞ্চে
বসে যখন চা খাই, রোদটায়
তিতলির মত ওড়ে বিভিন্ন লিপির বর্ণগুলো
জেমস প্রিন্সেপের তালিকা থেকে -
ব্রাহ্মী বাংলা দেবনাগরী ...
ভাবীজির রান্নাঘরে মশলার গন্ধে মাখা ইতিহাস
তাঁর পুরুষ্টু স্তন দুটো থেকে বয়ে পৌঁছোয়
পাঁচটি কন্যার মাতৃত্ব সময়ে।
উপরকি-তে বেনারসিবাবুকে অটোয় এগিয়ে আমি
নিচলকি ধরতে,
বর্ষার রাতে পেরোই হাঁটুজল নিস্তব্ধ বন্ধবাজার।
বেসামাল ডুবি ভরা নর্দমায়, উঠি,
রাস্তার কলের নিচে বসে গা থেকে পাঁক ছাড়াই।
অন্ধকারে মনে হয় এগিয়ে আসছে শ্রমণেরা;
নাকি জৈনমুনিদল? নাকি পীর সমুদায়?
আমাকে এই সময়জটের জারকে নিজ
নশ্বরতা রসিয়ে নিতে দাও মুক্তিদাতারা!
দোহাই তোমাদের!
দেহের মন আছে যেমন,
মনেরও তো দেহ আছে – নেই?
১৭.৪.২৫
No comments:
Post a Comment