এই আমাদের
ঠাকুরঘর, থাকবেও এমন।
ঘর বলতে
ঘরও নয় আঁধার এক কোণ।
ছবিগুলোর
বেড়ে ওঠা বচ্ছরে বচ্ছরে –
আবার
আছেন বালগোপাল, পেতলের,
কেনা, মেলায় ঘুরে।
আছেন
রাধাকৃষ্ণ বাঁশের, কার যেন দেওয়া?
মাটির
গণেশ রয়ে গেলেন, জলে দিতেও মায়া।
পাঁচখানা
শিবলিঙ্গ, কে কবে দিয়েছিল,
রাখা তামার টাটে।
পুরোনো
সব ক্যালেন্ডারের লক্ষীনারায়ণ,
মহাদেব,
মহিষাসুরমর্দিনীও,
মেঘের রাজ্যপাটে।
আবার
আছেন বুদ্ধদেবও, আছেন কাবা,
উর্দু লিখন, সাতশো ছিয়াশি!
আছেন
যীশুখ্রিষ্ট, আছেন দুই বাড়ির গুরু এবং
আরো
অনেক, মালা তাবিজ, যন্তর একরাশি …
কিসে
কী হয় কে জানে! থাকলে থাকে স্বস্তি,
থাকে
শান্তি, কতক্ষণ? মানেও তো না বর –
প্রদীপ
থেকেই বিড়ি ধরায় … তবু
থাকবে
এম্নি, স্নেহমায়া-চিন্তার প্রহর।
যখন
যাবে সব যাবে
গঙ্গাজলে
কিম্বা বাঁচামরার অকুস্থলে …
নিজের
জ্ঞান রাখো নিজের কাছে,
কাড়লে
অনেক, আর কেড় না শাস্ত্রকথার ছলে।
১৮.৮.২২
No comments:
Post a Comment